#Pravati Sangbad Digital Desk:
বর্তমানে গ্যাস - অম্বলের সমস্যা ঘরে ঘরে দেখা যায়। বিয়ের মরশুম পড়ে গেছে। আর বিয়ের মরশুম এলেই সাথে থাকে ভালো - মন্দ খাওয়া দাওয়া। সাথে রয়েছে শীতকাল। বাঙালি সর্বদা ভোজনরসিক। আর এই শীতকাল আসলেই বাঙালির খাওয়া - দাওয়া আরো বেড়ে যায়। সবার আগেই এই সময় তালিকায় থাকে বিভিন্ন ভাজাভুজি। এরপরই দেখা দেয় পেটের বিভিন্ন সমস্যা। শুরু হয় গ্যাস - অম্বল।
গ্যাস - অম্বলের এই সমস্যা দুর করার জন্য অনেকেরই ভোগান্তি হয়। কারোর লাগে অ্যালোপ্যাথি, আবার কারোর হোমিওপ্যাথি। তবে এর পাশাপাশি আয়ুর্বেদও ব্যাপকভাবে সাহায্য করে এই সমস্যা দুর করতে। বহু প্রাচীন কাল থেকেই যেকোনো চিকিৎসার আগে থেকেছে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা। একালেও তার ব্যাতিক্রম নয়।
১. শরীর অনুযায়ী খাবার খাওয়া :
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী প্রত্যেক শরীরের তিনটি দোষ থাকে। বাত, পিত্ত ও কফ। এই তিনটির ভারসাম্য নষ্ট হলে শরীর রীতিমতো খারাপ হয়ে পড়ে। সুতরাং এই তিনটি জিনিসকে সুস্থ রাখতে শরীরের গঠন অনুযায়ী খাবারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
২. যতটা সম্ভব তাজা খাওয়ার খেতে হবে :
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, সর্বদা তাজা ও পুষ্টিকর খাবারই শরীরের জন্য উপকারীতা বহন করে। এটাই জীবনশক্তির উৎস। কেনা খাবার তাজা বা পুষ্টিকর কোনোটাই নয়। খেতে সুস্বাদু হলেও, পেট ও শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। এছাড়া বাসি খাবারকেও টাটকা ও পুষ্টিকর খাদ্য হিসাবে ধরা চলে না।
৩. পেট পরিষ্কার রাখা :
একটি সুস্থ অন্ত্র পেতে ইসবগুলের মতো ভেষজের কোনো বিকল্প নেই। অন্ত্রকে ভালো রাখার জন্য প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে হলুদ, জিরে ও কাঁচা মধুর মতো ভেষজ দ্রব্য রাখা দরকার। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা ভালো হজমের জন্য ঠান্ডা স্যালাড এড়ানোর পরামর্শ দেন। পাশাপাশি স্থানীয় ও ঘরোয়া খাবারই শরীরে শক্তির যোগান দেয় ।
৪. ঘাম ঝরাতে হবে :
ব্যায়াম স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। প্রতিদিন সকাল ও বিকালে ব্যয়াম করলে শরীরের সমস্ত অঙ্গ - প্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে ছলছল করে। এমনকি রক্ত চলাচলও সচল থাকে শরীরে। শরীরের সহনশীলতা বাড়ায়। এন্ডোরফিন নিঃসরণকে উৎসাহিত করে, যা উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। ব্যয়ামের দ্বারা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শরীরের বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপ বাড়াতে প্রতিদিন ৪৫ থেকে ৬০ মিনিট যোগব্যায়াম করা উচিত।
৫. শরীরে কোনো উদ্বেগ ঠিক নয় :
কোনো রকমের স্ট্রেস বা উদ্বেগ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। তাহলে শরীর সচল থাকবে। কিছু দিন বিশ্রাম নিতে পারলে সবচেয়ে ভাল। যেকোনো মানসিক অশান্তিকে দূরে রাখতে হবে।গল্প, বই পড়া, গান শোনা, স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এসবের মধ্যে নিজেকে নিমজ্জিত করতে হবে। অন্ত্র হল শরীরের একমাত্র অঙ্গ, যা নিজেকে নিরাময় এবং পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম। তাই শরীরের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
Journalist Name : পাপড়ি চক্রবর্তী