২০২০ সাল সকলের কাছে এক অভিশপ্ত বছর হিসাবে পরিচিত। চারিদিকে মৃত্যুর খবর আর কান্নার আওয়াজ ছাড়া ছিলো না কিছুই। ২০১৯-এর ডিসেম্বেরে প্রথম করোনার কথা শোনা গিয়েছিল চীনে। সেই অসুখ ক্রমে ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে। একটা বছরের জন্য যেনো থেমে গিয়েছিল গোটা পৃথিবী৷ আবারও ফিরে আসতে চলেছে সেই সময়।
শীতকালে এই রোগের মাত্রা দেখা দেয় বেশি। চীনের এক ভাইরাস গ্রাস করেছিল গোটা পৃথিবীকে। মাস্ক একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছিল সেই সময়। এক সময় বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , অফিস। মানুষের নিত্যজীবনে হঠাৎ নেমে আসে স্তব্ধতা। এক নিমিষে ওলোট পালোট হয়ে যাক সকলের জীবন। ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা করতে গিয়ে প্রাণ হারান বহু চিকিৎসক।
কোভিডের তিনটি ঢেউ, একের পর ভ্যারিয়েন্ট দেখেছে বিশ্ব। যখনই সব কিছু ঠিকঠাক ছিলো , সেই মুহূর্তেই ফের বিপদের আশঙ্কা ঘনিয়ে এলো। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন , আরও একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসতে চলেছে চীনে। শীতকালীন সময়ে কোভিডের তিনটি ঢেউ আসতে চলেছে চীনে। আবারও করোনা বাসা বানাচ্ছে এই দেশে।
আমেরিকান বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল লুসি জানান, আগামী দিনে চীনে ওমিক্রনের সাবভেরিয়েন্টগুলি আরও প্রভাব বিস্তার করতে পারে৷ ফলে চীনকে পুনরায় সতর্কে থাকতে হবে। ভ্যাকসিন, চিকিৎসা, হাসপাতাল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুত হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ বিশেষজ্ঞেদের মতে , চীন এখনও পুরোপুরি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম নয়। অ্যান্টিবডি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এর সংক্রমণ ক্ষমতা আরও বাড়তে পারে৷ এখনো পর্যন্ত চিন থেকে জানানো হয়নি মৃতের সংখ্যা।
করোনার পরিবেশ যেতে না যেতেই ফের দেখা দিল চিনে করোনার সংক্রমণ। বর্তমানে সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওমিক্রনের B4.7 ভ্যারিয়্যান্ট। এটি দেখা দিয়েছে ভারতেও। ভারতে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ জন।