Flash news
    No Flash News Today..!!
Tuesday, May 21, 2024

কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর: চামচ দিয়ে নাকি হাত দিয়ে খাওয়া?

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

নামি-দামি হোটেল, রেস্টুরেন্ট বা অনুষ্ঠানে গেলে চামচ ব্যবহার করে খাওয়ার একটা প্রচলন আছেন। একটা স্ট্যাটাসের ব্যাপার থাকে। কিন্তু দামি হোটেল হোক, দাওয়াত বা নিজের বাড়ি- বেশিরভাগ বাঙালি হাত ব্যবহার করে খেতেই বেশি অভ্যস্ত। তাতে খাবারের তৃপ্তিও পাওয়া যায় বেশি।

আবার এমন অনেকে আছেন, যারা সব সময়ই চামচ ব্যবহার করে খান। খাবার হাতে লাগাতে চান না। কিন্তু হাত দিয়ে খাবার খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা যদি তারা জানতেন, তাহলে চামচ ছুঁয়েও দেখতেন না। চলুন তবে জেনে আসি হাত দিয়ে খাওয়ার স্বাস্থ্যগুণ কী-

রক্ত চলাচল বৃদ্ধি

হাত দিয়ে খাবার খেলে আঙুলের সাহায্যে খাবার মাখানো হয়। এতে হাতের পাশাপাশি সারা দেহে রক্ত চলাচলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

পরিমাণে কম

চামচের সাহায্যে খাওয়ার চেয়ে হাতে খেতে বেশি সময় লাগে। হাতে খাবার খেলে চামচের তুলনায় কম খাওয়া হয়। এতে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কমে।


হজমে সুবিধা

হার দিয়ে খাবার খেলে চিবানোর জন্য বেশি সময় পাওয়া যায়। এতে খাবার বেশি মাত্রায় হজম হয়। আবার হাতে এমন কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে, যেগুলি খাবার হজমে সাহায্য করে। চামচ দিয়ে খেলে এই সুবিধা মেলে না।

ডায়াবিটিসের আশঙ্কা কমে

‘ক্লিনিকাল নিউট্রিশন’ প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যারা হাত দিয়ে খাবার খান, তাদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের আশঙ্কা তুলনামূলক কম। 

হাতের পাঁচ আঙুলের সঙ্গে প্রকৃতির সংযোগ

আমাদের শরীরের একেকটা অঙ্গের একেকটা কাজ। হাতের কাজগুলোর ভেতর অন্যতম হলো খাওয়া। ভারতবর্ষের প্রাচীন আয়ুর্বেদশাস্ত্র মতে, হাতের পাঁচটি আঙুলের সঙ্গে প্রকৃতির পাঁচটি উপাদানের সম্পর্ক রয়েছে। স্থানের সঙ্গে বৃদ্ধাঙ্গুলি, বাতাসের সঙ্গে তর্জনী, আগুনের সঙ্গে মধ্যমা, পানির সঙ্গে অনামিকা ও কনিষ্ঠা মাটির সঙ্গে সম্পর্কিত। এই পাঁচ আঙুলের সাহায্যে যখন খাবার খাওয়া হয়, তখন এই পাঁচ আঙুল সক্রিয় হয়ে ওঠে। প্রাকৃতিক উপাদানগুলো উদ্দীপিত হয়। আর তখন আপনি খাবার থেকে পর্যাপ্ত শক্তি পান। কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত না হলেও প্রাচীনকাল থেকে এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী প্রজন্মের পর প্রজন্ম আয়ুর্বেদ–ভক্তরা। বিষয়টি আপনি বিশ্বাসও করতে পারেন, অবিশ্বাসও করতে পারেন, আবার বিশ্বাস–অবিশ্বাসের মাঝামাঝি মিথ বলেও চালিয়ে নিতে পারেন।

Journalist Name : Sampriti Gole

Related News