এবার আর বিশ্ব ঘুরে নয়। ভারত থেকে সরাসরি কৈলাস যাত্রা করা যাবে

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

এবার আর নেপাল বা চিন ঘুরে নয়, ভারতীয়দের জন্য সুখবর। এবার  সরাসরি মানস সরোবরে পাড়ি দিতে পারবেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই যে 'রাস্তা' তৈরি হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন নীতিন গডকড়ী। এতে তীর্থযাত্রীদের সময় শুধু বাঁচবে না, ফলে অনেক সুরক্ষিত ভাবে পৌঁছে যাওয়া যাবে সেই স্থানে। এই প্রকল্পের ব্যয় ৭হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, “চারটি টানেল – লাদাখ থেকে কার্গিল, কার্গিল থেকে জেড-মোড়, জেড-মোড় থেকে শ্রীনগর এবং শ্রীনগর থেকে জম্মু – তৈরি করা হচ্ছে। জেড-টার্ন প্রস্তুত হচ্ছে। জোজিলা টানেলের কাজ ইতিমধ্যেই চলছে।” তবে যাত্রাপথ মোটেই সহজ নয়। তীর্থযাত্রীদের সফরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার আগে মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। এটি উচ্চতম ট্রেকিংয়ের সঙ্গে জড়িত। এই অঞ্চলে আবহাওয়া বেশ কঠিন। বহু তীর্থযাত্রীদের কাছে এই পবিত্র গন্তব্যস্থলে শেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না। সবকিছু ভেবেই ওই দুর্গম রাস্তাটি আপগ্রেড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেই ভারতীয় চার চাকায় মানস সরোবর পৌঁছে গেল ‘পঞ্চপাণ্ডব। তাও ডানদিকে থাকা স্টিয়ারিং নিয়ে। নজির গড়ল বাংলা। কৌশিক রায়, রুদ্র বিশ্বাস, অরিজিৎ বসু, শুভ্রজিৎ মুখোপাধ্যায় ও বরুণ সিং। ১১ নভেম্বর চন্দননগর থেকে যাত্রা শুরু। নেতৃত্বে কৌশিক। ১৬ই নভেম্বর নেপাল হয়ে তিব্বত।

প্রায় সাড়ে ছ’হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ২৬ নভেম্বর কৈলাস-মানস সরোবর পৌঁছল ৫জনের টিম। ভারত থেকে তিব্বতের কৈলাস-মানস সরোবর যাওয়ার তিনটি রুট রয়েছে—সিকিম হয়ে, উত্তরাখণ্ড দিয়ে অথবা নেপালের কাঠমান্ডু হয়ে। সবকটি পথই সুদীর্ঘ এবং প্রচুর কষ্টসাধ্য। এর মধ্যে উত্তরাখণ্ড দিয়ে যাওয়ার রাস্তাটিই তুলনায় সহজগম্য। কিন্তু এই পথের আবার তিনটি ভাগ রয়েছে। প্রথম ভাগে যেতে হয় পিথোরাগড় থেকে তাওয়াঘাট, যার দূরত্ব ১০৭.৬কিলোমিটার। দ্বিতীয় পর্যায়ে যাত্রা শুরু হয় তাওয়াঘাট থেকে। ১৯.৫কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে পৌঁছতে হয় ঘটিয়াবগড়। শেষ ধাপে রয়েছে ঘটিয়াবগড় থেকে চীন সীমান্ত লাগোয়া লিপুলেখ পাস পর্যন্ত ৮০কিলোমিটার রাস্তা। এই দ্বিতীয় ধাপের রাস্তাকেই সম্প্রসারণ ও সংস্কার করে যানবাহন চলাচলের উপযুক্ত করেছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। এর ফলে তাওয়াঘাট থেকে সরাসরি লিপুলেখ পর্যন্ত গাড়িতে পৌঁছে যাওয়া যাবে। 

Journalist Name : Aankhi Banerjee

Related News