করোনা মহামারীর আগে এবং পরে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে মেট্রোরেল পরিষেবায়। দূরত্ববিধী বজায় রাখার চক্করে উঠে গেছিল টোকেন ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল স্মার্ট কার্ড পরিষেবা তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটা ভালো হওয়ায় কর্মব্যস্ততায় মানুষ আবারও ছুটে চলেছে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। আবারো ভিড় বাড়তে শুরু করেছে মেট্রোরেলে। আবারো সাধারণ মানুষ আগের মত নির্ভর করছে টোকেন ব্যবস্থার উপরে কিন্তু সেই লাইনে দাঁড়ালেই উপস্থিত হচ্ছে হাজারো প্রশ্ন। টিকিট কাটতে গেলে খোলা পাওয়া যাচ্ছে মাত্র হাতে গোনা দুই থেকে তিনটি কাউন্টার। কালীঘাট দমদম এর মতো ব্যস্ততম মেট্রো স্টেশন গুলিতেও হাতে পাওয়া যাচ্ছে দুটি করে টিকিট কাউন্টার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আবার যাত্রীদের টোকেনের জন্য দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে নিজে থেকে করে নেওয়া ভেন্ডিং মেশিন। স্মার্ট কার্ড যারা ইউজ করছে তাদের রিচার্জের জন্য বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে অনলাইন মাধ্যম। টিকিট কাউন্টারের চাপ কমাতে এভাবেই প্রায় সময় নিয়ে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষরা যাত্রীদের বোঝাচ্ছে কিভাবে ভেন্ডিং মেশিন অনলাইন এর মাধ্যমে খুব সহজেই তারা টিকিট কাউন্টার এড়াতে পারবে।
তবে এই নিয়ে যাত্রী মহলে বেড়েছে ক্ষোভ। অনেকেই স্মার্ট কার্ড ইউজ করলেও টোকেন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কিন্তু মোটেই কম নয়। ৫০ শতাংশেরও বেশি যাত্রী টোকেনের মাধ্যমে যাতায়াত করে থাকেন কিন্তু এইরকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখায় স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডিং মেশিন বা অ্যাপের উপর তারাও নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছে।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এইসব সমস্যার অন্য কারণ দেখিয়েছে। কর্মী সংখ্যা নিহাতি কম থাকায় এরকম সমস্যার মুখে পড়ছে পরিষেবা। বেশ কয়েকদিন ধরে কর্মী নিয়োগ না হওয়ায় ঘাটতি পরেছে মেট্রোরেল কর্মীতে। উর্মি ঘাটতি হলেও মেট্রো স্টেশন সংখ্যা কিন্তু বেরিয়ে চলেছে। যেমন উত্তর দক্ষিণ শাখায় নতুন করে যোগ হয়েছে বরাহনগর এবং দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশন, এছাড়া শিয়ালদা মেট্রো স্টেশন চালু হওয়ার চাপ বেড়েছে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোজোনেও। মেট্রো পরিষেবার পরিধি বাড়ানো হলেও কর্মী সংখ্যা কিন্তু এখনো পর্যন্ত সীমিত। আবার কিছুদিনের মধ্যে জোকা এবং তারাতলা মেট্রো স্টেশন চালু হতে চলেছে, সেখানেও কর্মী যাবে এই সব স্টেশন গুলি থেকে। সবমিলিয়ে কর্মী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত এরকম সমস্যার সম্মুখীন হবেনই মেট্রোরেল যাত্রীরা।