৯ সেকেন্ডে নয়ডার ট্যুইন টাওয়ার ভাঙা তো দেখল গোটা দেশ৷ শুরু হয়েছিল কাউন্ট ডাউন৷ তারপর বিশেষ কৌশলে, ভয়ঙ্কর আওয়াজ করে, চারিদিকে ধূলো উড়িয়ে ধ্বসে পড়ল বিল্ডিংটি, বিস্ফোরণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ধুলোর মেঘ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। তবে ধীরে ধীরে দৃশ্যমানতা ফিরে আসছে। ধুলোর মেঘ কেটে গিয়েছে অনেকটাই। বিশালাকার ভবনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে পাহাড়ের মতো।
দুই টাওয়ারের মধ্যে যে ন্যূনতম দূরত্ব থাকা উচিত, তা রাখা হয়নি। এই সব দিক খতিয়ে দেখে গত বছরেই ওই জোড়া টাওয়ার ধ্বংস করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত৷
তৈরি করতে খরচ প্রায় ৭০ কোটি টাকা৷ আর ভেঙে ফেলতে খরচ প্রায় ২০ কোটি টাকা৷ এভাবেই নয়ডার ট্যুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার হিসেব নিকেষ করছেন সাধারণ মানুষ৷ তাদের চোখের সামনে গুড়িয়ে দেওয়া হল বেআইনি এই ইমারত৷ যা উচ্চতায় কুতুব মিনারকেও ছাড়িয়ে যেত ৷
ঘড়ির কাঁটা মেনে একেবারে ৯ সেকেন্ডেই ভেঙে গুড়িয়ে গেল ট্যুইন টাওয়ার৷ জানানো হয়েছে, বাতাসের গতির উপর নির্ভর করে ধুলো স্থির হতে প্রায় ১২ মিনিট সময় লাগবে। প্রায় ৫৫,০০০ টন ধ্বংসাবশেষ তৈরি হবে এবং এটি পরিষ্কার করতে তিন মাসের মতো সময় লাগতে পারে। ধ্বংসাবশেষ নির্দিষ্ট এলাকায় জমানো হবে।
উত্তরপ্রদেশের নয়ডার সুপারটেকের এমারেল্ড প্রোজেক্টের অধীনে তৈরি হয় এই ট্যুইন টাওয়ার৷ এতে ছিল ৯০০টিরও বেশি ফ্ল্যাট। ৯ সেকেন্ডের মধ্যে ধূলিস্যাৎ হল বিশাল বিল্ডিং। বিস্ফোরণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ধুলোর মেঘ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। তবে ধীরে ধীরে দৃশ্যমানতা ফিরে আসছে। ধুলোর মেঘ কেটে গিয়েছে অনেকটাই। বিশালাকার ভবনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে পাহাড়ের মতো।
পিলারের প্রায় ৭,০০০ গর্তে ৩,৭০০ কেজি বিস্ফোরক ঢোকানো হয়েছিল। ২ মিটার করে লম্বা ছিল এই গর্তগুলি। মানে ১৪ কিমি গর্তে বিস্ফোরক ভরা ছিল। সবটাকে একত্রিত করতে, ২০,০০০ সার্কিট বসানো হয়। এমনভাবে বিস্ফোরণটি ঘটে যে সুবিশাল টাওয়ারগুলি সোজা নীচে পড়ে গিয়েছে— একে ‘জলপ্রপাত কৌশল’ বলে।