পুজো অনুদানে সায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট । পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়ার মামলায় রাজ্যের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও রাখা হয়েছে বেশ কিছু শর্ত। ক্লাবগুলিকে অনুদানের অর্থ প্রদান করার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে? কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রায় ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিতে পারবে রাজ্য। তবে রাখা হয়েছে ছয়টি শর্ত। অনুদানের ভিত্তিতে পুজোর কোন খাতে কী খরচ হয়েছে, তার যাবতীয় হিসেব জমা করার কথা বলা হয়েছে। এমনটাই জানা গিয়েছে আদালত সূত্রে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালেও দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সে সময়ও আদালতের নির্দেশ রাজ্য সরকারের পক্ষে গেলেও রাখা হয়েছিল বিশেষ কিছু শর্ত। যার মধ্যে উল্লেখ্য ছিল, কোন খাতে কত টাকা খরচ করা যাবে সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট হলফনামা আকারে জমা করতে হবে রাজ্যকে। কোভিড মোকাবিলায় টাকা খরচ করুক রাজ্য। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। অনুদানের টাকার অনেকটাই কোভিড মোকাবিলায় ব্য়য় করার কথা বলা হয়েছিল। বাকি টাকা পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সমণ্বয় বৃদ্ধির কাজেও ব্যয় করার পরামর্শ ছিল। স্য়ানিটাইজার, মাস্ক সহ কোভিড মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনার ব্যাপারে অনুদানের অর্থ খরচ করার নির্দেশ ছিল। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাব কমিটিগুলির সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন। সেখানেই তিনি এ বছরের জন্য অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি করে দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। পাশাপাশি বিদ্যুতের বিলেও ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুৎ বিলে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার অনুরোধ জানান সিইএসি এবং রাজ্যে বিদ্যুৎ বন্টন পর্ষদকে। এরপরই শুরু হয় রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধীরা একযোগে আক্রমণ করতে শুরু করেন। দু'টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে। ছয়টি শর্তে পুজো অনুদানে সায় নিয়ে সরকারকে স্বস্তি দিল হাইকোর্ট।