গত শুক্রবার সূত্রানুসারে রাজ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ' র সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০০ র বেশি। অন্যদিকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৫৮৪ র ও বেশি মানুষ। অন্যদিকে সরকারি সূত্রানুসারে, সারা দেশে আগস্টের ৩১ তারিখ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই মশাঘটিত রোগের ব্যাপারে। মশার কামড়ের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। হু ( WHO) র সংজ্ঞা অনুযায়ী, " ডেঙ্গু আক্রান্ত মশার দংশনে ছড়ায়। ডেঙ্গু রোগের বাহক হয় সাধারণত এডিস ইজিপ্টি। এছাড়াও অলবোপিক্টাস মশা দ্বারাও এ রোগ ছড়াতে পারে। এটা মনে রাখা দরকার ডেঙ্গুর বাহকরা একইসঙ্গে চিকেনগুনিয়া, পীত জ্বর ও জিকা ভাইরাসের ও বাহক। ডেঙ্গুর ইনফেকশনের প্রথম ধাপে ১০৪° র কাছাকাছি জ্বর হয় , সঙ্গে মাথায়, চোখে, মাংসপেশি তে ব্যথা থাকে। বমি ও চামড়ায় র্যাশ ও দেখা যেতে পারে। এর সময়কাল প্রায় ২-৭ দিন পরের ধাপে, ৩-৭ দিনের সময়কালে রোগীর অবস্থা আরো আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। বমির এবং মলের সঙ্গে রক্ত পড়া, ক্লান্তিভাব, নিঃশ্বাস নিতে গিয়ে অসুবিধা এ ধাপের লক্ষণ। রোগাক্রান্ত মানুষের দেহ থেকে ডেঙ্গুর ভাইরাস একজন সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। অনেক সময় ই সে সমস্ত রোগীর মধ্যে প্রাথমিক স্তরে কোনো লক্ষণ দেখা যায় না, তাই রোগের চিহ্নিত করণ কঠিন হয়ে পড়ে। ডেঙ্গুর জন্য প্রাথমিক ভাবে NS 1 পরীক্ষা করা হয়। ২০ মিনিটের মধ্যে ভাইরাসকে চিহ্নিত করা যায়। তবে যাদের দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ বার হয়েছে , তাদের জন্য উপযুক্ত হল IgG ও IgM পরীক্ষা। আপনার পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে লক্ষণ গুলো পর্যবেক্ষণ করুন। তাকে যথেষ্ট সুযোগ দিন বিশ্রাম নেওয়ার, শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল প্রবেশ করছে কি না নজর রাখুন। ডাক্তারি সাহায্য নিন। প্যারাসিটামল ব্যবহার করতে পারেন তবে অ্যাসপিরিন এড়িয়ে চলা উচিৎ এক্ষেত্রে।