।। দুর্গাপুজো নিয়ে উন্মাদনাটা সকলের, আমার নিজেরও আছে ।।

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বহুল পরিচিত মনসামঙ্গল কাব্যে উল্লিখিত চাঁদ সদাগর ভাগীরথী চ্যানেল হয়ে সাগরে সোনারপুর অঞ্চলের ওপর দিয়েই পৌঁছেছিলেন। ওপরদিকে মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যদেব তাঁর পুরীর নৌকায় যাত্রা এই সোনারপুর অঞ্চলের পথেই করেছিলেন। এমনকি, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর পৈত্রিক বাড়িও রাজপুর- সোনারপুর অঞ্চলে অবস্থতি। সুতরাং আমরা বলতেই পারি, রাজপুর- সোনারপুর অঞ্চলটি বাংলা তথা বঙ্গবাসীর জাত্যাভিমান এবং অহংকারের এক স্থান।
শুধুমাত্র এই অঞ্চল নয়, এই অঞ্চলের পুরসভার ইতিহাসও চমকপ্রদ। ১৮৭৬ সালে জমিদার নবিন চাঁদ ঘোষের হাত ধরে ১৪টি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে তৈরি হয় রাজপুর- সোনারপুর পুরসভা। এরপর ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত প্রশাসনিক নিয়মে শাসন ব্যাবস্থা চালিত হত। ১৯৮০ সালে প্রথম এই পুরসভাতে বোর্ড গঠন করা হয় এবং শ্রী শান্তিময় ভট্টাচার্যকে পুরসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত রাজপুর পুরসভাতে বিভিন্ন ব্যাক্তি পুরপ্রাধানের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর বামফ্রন্টের শাসনামলে ১১৯৩ সালে শ্রী কমল গাঙ্গুলি পুরপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহন করেন এবং ২০০৯ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ দীর্ঘ ১৬ বছর এই অঞ্চলের পুরপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তিতে তৃণমূল- কংগ্রেসের শাসনামলে প্রাথমিকভাবে প্রশাসনিক নিয়মে কার্যক্রম চললেও পরে ডঃ পল্লব কুমার দাস পুরপ্রধানের শাসনভার গ্রহন করেন। 
প্রভাতী সংবাদের সাখ্যাতকারে পুরপ্রধান পল্লব কুমার দাস মহাশয় জানিয়েছেন, তাঁর রাজনৈতিক জীবন অনেক বড়। প্রাথমিকভাবে কংগ্রেসপন্থী হলেও, পরবর্তিতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল- কংগ্রেসে যোগদান করেন। দুর্গাপুজো সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর সাফ উত্তর “দুর্গাপুজো নিয়ে উন্মাদনাটা সকলের, আমার নিজেরও আছে”। করোনা মহামারী নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এখন করোনা একটু কম হলেও মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। এছাড়া ডেঙ্গু এবং অন্যান্য পতঙ্গ বাহিত রোগের সাথে লড়াই করার জন্য পুরসভা সাধারণ মানুষের পাশে সর্বক্ষন আছে।

Journalist Name : Tamoghna Mukherjee

Tags: