বিধাননগর-কে নিয়ে বিধান রায়ের স্বপ্নের বাস্তব রুপদান করেছেন মমতা ব্যানার্জী

banner

#Prtavati Sangbad Digital Desk:

বিধাননগর, বিখ্যাত ডাক্তার তথা বাংলার রূপকার বিধান চন্দ্র রায়ের নামাঙ্কিত এই অঞ্চল কলকাতার সাধারণ মানুষের কাছে যেন এক স্বপ্নপুরী। আর হবে নাইবা কেন, কোলকাতা শহরের ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব বা আইটি হাব বলতে মানুষ এককথায় সল্টলেক-কে জানেন। দেশ- বিদেশের শতকরা ৯০% নামী-দামি সব কোম্পানির অফিসই এই সল্টলেক অঞ্চলে। কোলকাতার পূর্বদিকে অবস্থিত এই সল্টলেক বিধাননগরেই অবস্থিত। শুধুমাত্র সল্টলেক নয়, কোলকাতার অন্যতম উন্নত অঞ্চল নিউটাউন-রাজারহাট এই বিধাননগর অঞ্চলেই অবস্থিত। এই সমস্ত উন্নত অঞ্চলগুলির ২৩টি ওয়ার্ড-কে নিয়ে ১৯৯৫ সালে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে তৈরি হয় বিধাননগর পুরসভা। তবে সেই সময়ে সল্টলেক সহ সমগ্র বিধাননগর অঞ্চল ছিল একটি জলাভূমি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বাংলার দায়িত্বভার নিয়েই বিধাননগর সহ সমগ্র এলাকার আমূল পরিবর্তন আনেন। ২০১৫ সালে বিধাননগর পুরসভা এবং রাজারহাট- গোপালপুর পুরসভা সম্মিলিত হয়ে বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন গঠিত হয়। যারফলে, ওয়ার্ড সংখ্যা ২৩টি থেকে বেড়ে ২৫টি ওয়ার্ডে উন্নীত হয়। 
বিধাননগরের বর্তমান মেয়র শ্রীমতী কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের কথায়, ‘বিধান চন্দ্র রায় এই জলাভূমিকে গঙ্গার পলিমাটি ফেলে ভর্তি করে বসবাসযোগ্য  করে তুলে সাধারণ মানুষকে ৯৯৯ বছরের লিজে দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই মুহুর্তের বিধাননগর আজকের বিধাননগরের থেকে অনেকটাই আলাদা ছিল। সমগ্র বিধাননগর অঞ্চল জলাভূমি ছিল। মুখ্যমন্ত্রি মমতা ব্যানার্জি তিলে তিলে সেই জলাভূমি থেকে আজকের বিধাননগর তৈরি করেন। অর্থাৎ, বিধান রায়ের যে স্বপ্ন ছিল বিধাননগর-কে নিয়ে তাঁরই বাস্তব রুপদান করেন দিদি’। তিনি এও জানিয়েছেন করোনাকালে সমগ্র সবসময়ে সাধারণ মানুষের পাশে ছিল বিধাননগর মিউনিসিপ্যালিটি, কারন বিধাননগর কোনো অঞ্চল নয়, এটি একটি পরিবার, তাই সব কাজেই বিধাননগর মিউনিসিপ্যালিটি একসঙ্গে কাজ করেন। দুর্গাপুজা সম্পর্কে তিনি বলেছেন শুধুমাত্র দুর্গাপুজো নয়, বছরের প্রতিদিন কর্পোরেশন সাধারণ মানুষের পাশে আছে, মানুষের সেবাই আমাদের কাছে শেষ কথা। 

Journalist Name : Tamoghna Mukherjee

Tags: