আজ দ্বীপান্বিতা অমাবস্যা, দেবী শক্তির আরাধনায় মেতে উঠেছে গোটা বাংলা। চারিদিকে আলোর রশনায় আর ঝলমলে পরিবেশ। কলকাতার কালীঘাট থেকে অসমের কামাখ্যা, সর্বত্র একই চিত্র। সেই তালিকা থেকে বাদ নেই তারাপীঠও। তন্ত্র মতে, এখানে দেবীর ঊর্ধ্ব নয়ন কিংবা তারা পড়েছিল, দেবী এখানে তন্ত্রের অধিষ্ঠাত্রী। দেবীর মন্দিরের উত্তর দিকে মহাশ্মশান, সেখানেই দেবী উগ্র তারা রুপে সদাবিরাজমান। তারাপীঠে যেকোনো উৎসবে মূর্তি পুজোর প্রচলন সেই অর্থে নেই, মা তারাকেই কখনও দুর্গা কখনও বা কালী রুপে পুজা করার রীতি রয়েছে এখানে।
বহু সাধকের সাধন ক্ষেত্রে এই তারাপীঠ। পাশ দিয়ে আপন খেয়ালে বসে চলা দ্বারকা নদী, আর বাম দেব মিলে মিশে একাকার এখানেই। তন্ত্র মতে এখানে দেবীর ঊর্ধ্ব নয়ন পড়ার কথা বলেও, শিব নির্ণয় তন্ত্রের মতে, এখানে দেবীর কোন অঙ্গ পড়েনি। তাই সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ। তিনি তন্ত্রের অধিষ্ঠাত্রী, আজ সারারাত খোলা থাকবে মায়ের মন্দির। তন্ত্র মতে পুজো হবে দেবী তারার। সকালে মঙ্গলারতি দিয়ে শুরু হয়েছে পুজো চলবে সারা রাত। সেই সাথে আজ শ্মশানে শৈব ভোগ কিংবা শেয়ালকে ভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে তারাপীঠে। লোকশ্রুতি, মহাশ্মশানের শেয়াল কুকুর নাকি বাম দেবের নিত্য সঙ্গী।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image