প্রায় ২১ বছর পর মিস ইউনির্ভারসের মুকুত পেল ভারত কন্যা হরনাজ সান্ধু। শেষবার ভারতে এই মুকুট এনেছিলেন লারা দত্ত ২০০০ সালে এবং তাঁর আগে সুস্মিতা সেন ১৯৯৪ সালে।
হরনাজ সান্ধু, ভারাতের চণ্ডীগড়ের সেক্টর ১১-এর পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের প্রাক্তনী ছাত্রী, যিনি পাঞ্জাবের একজন অভিনেত্রীও, তিনিই আবার ফিরিয়ে আনলেন এই গর্ব। তবে আগেও অনেক সুন্দারির খেতাব জিতেছেন এই তনয়া, যাদের মধ্যে ২০১৭ সালের টাইম ফ্রেশ ফেস মিস চণ্ডীগড় এবং ২০১৯ সালে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া পাঞ্জাব এবং সেমিফাইনালিস্ট ফেমিনা-মিস-ইন্ডিয়া হন। এছাড়াও অনেক পাঞ্জাবী ছবিতে অভিনয় করেন। যাদের মধ্যে “ইয়ারা দিয়াঁ পু বারাঁ“ এবং “বাই জি কুটাঙ্গে” অন্যতম।
অনেক ধাপ পেরিয়ে ২২শে সেপ্তেম্বর, সান্ধু ‘মিস বেউটিফুল স্কিন’ অ্যাওয়ার্ড পান এবং ফাইনালিস্ট হিসেবে মনোনীত হন। পরে ’মিস বিচ বডি’, ‘মিস বিউটিফুল স্কিন’,’ মিস ফটোজেনিক’, এবং ‘মিস ট্যালেন্টেড’ হিসেবে ফিনালে উত্তীর্ন হন।
ফাইনালে সান্ধুর কাছে প্রশ্ন আসে, “গ্লোবাল ওয়ার্মিং অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ”-এর ওপর। যার উত্তরে তিনি বলেন “আমাদের কাজ বেশি করা উচিত, কথা না বলে। প্রতিহত করা বা রক্ষা করাটাই বেশি জরুরি, মাথা চাপড়ানো বা সারানোর থেকে। আজ রাত থেকেই আমার সুরু করতে পারি সেই সমস্ত লাইটের সুইচ অফ করে যেগুলোর সেই সময় প্রয়োজন নেই। ধন্যবাদ।“
এই উত্তর দিয়েই বিচারকের মন জিতে নেন তিনি। রবিবার রাতে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) শ্রেষ্ঠত্ত্বের খেতাব পরিয়ে দেন আগের বারের মিস ইউনিভার্স মাক্সিকর অ্যান্দ্রিয় মেজ। হরনাজ চাম্পিয়ন হলেন প্যারাগুয়ের নাদিরা ফেরেইয়া এবং দক্ষিন আফ্রিকার লালেলা মসয়ানকে হারিয়ে। হারনাজ নতুন প্রজম্নের সমস্যাকে তুলে ধরে বলেন ,”আজকের প্রজন্মের সবথেকে বড় মানসিক চাপ সৃষ্টি করে, তাদের নিজেদের অপর বিশ্বাসের অভাব। মনে রাখবে, তুমি তমার শ্রেষ্ঠ নেতা, তুমি তমার জীবনের প্রতীক। আমি নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেচিলাম বলে আজ আমি এখানে। ধন্যবাদ।“
সেমিফাইনালে তিনি তার সখের কথা বলেন, তিনি জন্তু জানয়ারের ডাক নকল করতে ভালবাসেন। তাকে সেই ডাক শোনাতে বলায়, তিনি তার প্রিয় জন্তু অর্থাৎ বিড়ালের ডাক নকল করে দেখান। সাথে আথে উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে দর্শক মহল এবং সেই ভিডিও নেট দুনিয়ায় এলে ভাইরাল হয়ে যায়। হারনাজ কে টুইটে শুভেচ্ছা জানান প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং লারা দত্ত।