পশ্চিমবঙ্গের বনাঞ্চলে চন্দন গাছের চারা লাগাবে বন দফতর

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

রাজ্যে এ বার চন্দন গাছ চাষের ভাবনা বন দফতরের। বন দফতরের তরফে এবার বনাঞ্চল থেকে রাজ্য সরকারের আয় বৃদ্ধি করতে প্রায় ১ কোটি চন্দন গাছ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী বছরের প্রথমার্ধেই দফায় দফায় এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। আগামী জানুয়ারি থেকেই শুরু হবে চন্দনের চারা এনে তা বিলির প্রক্রিয়া। লাল, হলুদ ও শ্বেতচন্দনের চারা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলে শাল, পিয়াল, সেগুন, মেহগনি-সহ নানা মহার্ঘ্য গাছের সমাহার রয়েছে। বনের সেই সব গাছের কাঠ বিক্রি করে বছরের বিভিন্ন সময় ভাল আয় হয় রাজ্য সরকারের। সূত্রের খবর, বন দফতর একটি সমীক্ষা থেকে জেনেছে পশ্চিমবঙ্গে কোথাও চন্দন গাছের জঙ্গল নেই। তাই আয়ের নতুন পথ খুলতে রাজ্যের জঙ্গলগুলিতে চন্দন গাছের চারা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ''প্রতি বছর বন মহোত্‍সবে গড়ে ২ কোটি গাছ বিলি করা হয়। সঠিক যত্নের অভাবে অনেক গাছ মারা যায়। কিন্তু চন্দনের মতো অর্থকরী গাছ পেলে সকলে ওই গাছের প্রতি অনেক যত্নবান হবেন। সঠিক ভাবে পরিচর্যা করলে ১০ থেকে ১৫ বছর পর গাছ বিক্রি করে তাঁরা আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন। সঙ্গে রাজ্য সরকারের আয়ের অঙ্কও বাড়বে কয়েক গুণ।'' বন দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে এই চন্দন গাছ চাষের ক্ষেত্রে আগ্রহ যোগাবে সরকার। লাল চন্দন এবং শ্বেত চন্দন উভয় চারাই আনা হবে বলে খবর বন দফতর সূত্রে। চন্দন গাছ চাষের জন্য কোনও বিশেষ ধরনের মাটির প্রয়োজন হয় না। চন্দন গাছ যে কোনও রকম মাটিতেই বেড়ে উঠতে পারে। তবে অত্যধিক গরমে চন্দন গাছ চাষ সেভাবে করা হয় না। রাজ্যের কোন অংশের মাটি এবং জলবায়ু চন্দন গাছের জন্য সবথেকে উত্‍কৃষ্ট হবে তার জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ আলোচনাও সেরেছে রাজ্যের বন দফতর। রাজ্য বনদফতরের উপার্জনের একটা বড় অংশ পশ্চিমের জেলাগুলির শাল সেগুন মেহগনি মত দামি কাঠের গাছগুলি থেকে হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এক একটি শ্বেত চন্দন গাছের চারার দাম প্রায় ৫০০ টাকার কাছাকাছি। চন্দন গাছের চাষের ক্ষেত্রেও তত্‍ক্ষণাত্‍ মুনাফা অর্জন করা সম্ভব নয়। ভাল জাতের চন্দনের ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৩ বছর লাগে গাছের কাঠ বিক্রির যথোপযুক্ত হতে। প্রথম চার পাঁচ বছরে কোনও সুগন্ধ না থাকলেও, পরের দিকে সুগন্ধি হয়ে ওঠে এই গাছের কাঠ। চন্দন গাছ চাষের ক্ষেত্রে সঙ্গে হোস্ট গাছ হিসেবে অন্য গাছের চাষও করতে হয়। দামি গাছ হওয়ার কারণে চন্দন গাছ চাষের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার দিকেও নজর দিতে হয়। তবে যিনি এই গাছের চাষ করবেন, সঠিকভাবে চাষ করতে পারলে বছর ১৫ পর যথেষ্ট লাভের মুখ দেখবেন তিনি, সঙ্গে রাজ্যের আয়ও বাড়বে, দাবি পশ্চিমবঙ্গ বন দফতরের। উল্লেখ্য, দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে একরের পর এক এলাকাজুড়ে রয়েছে চন্দন গাছের বন। সেই চন্দন গাছ থেকে ওই রাজ্যগুলির আয়ও হয় বিস্তর। তাই সেই একই রকম বনাঞ্চল পশ্চিমবঙ্গে তৈরি করে নিজেদের আয় বৃদ্ধি করতে চায় রাজ্য সরকার।

#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image

Journalist Name : Sampriti Gole

Related News