পশ্চিমবঙ্গ এর নতুন রাজ্যপাল হলেন সি ভি আনন্দ বোস

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

পশ্চিমবঙ্গের জন্য স্থায়ী রাজ্যপাল নিয়োগের ঘোষণা করলেন রাষ্ট্রপতি। ঘোষণা অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপালের পদে আসছেন ডক্টর সি ভি আনন্দ বোস। জগদীপ ধনকড় উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের অস্থায়ী রাজ্যপাল ছিলেন লা গণেশন। এবার সেই জায়গায় আসছেন বিশিষ্ট প্রাক্তন আমলা তথা ম্যানেজমেন্ট গুরু সি ভি আনন্দ বোস। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার পর জগদীপ ধনখড় পদত্যাগ করেন। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপালের নাম মনোনীত হওয়া পর্যন্ত লা গণেশন দায়িত্ব সামলাবেন। জুলাই থেকে মণিপুরের গভর্নর লা গণেশন পশ্চিমবঙ্গের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাজ্যপাল হিসাবে জগদীপ ধনখড়ের ভূমিকা নিয়ে যতটাই সন্তোষ দেখা গিয়েছিল বিজেপির অন্দরে, অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের ভূমিকায় ততটা খুশি ছিল না বিজেপি। গত কয়েকদিনে একাধিকবার ভাবে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্যরা। সম্প্রতি বিজেপির শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারীও গণেশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সাক্ষাৎ না পেয়ে শুভেন্দুর অধিকারীর বক্তব্য স্পষ্ট বুঝিয়ে ছিল, অস্থায়ী রাজ্যপালে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। বৃহস্পতিবার বাংলার স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে আনন্দ বোসের নাম ঘোষণা করা হয়। নতুন রাজ্যপালের পদবি শুনে বাঙালি মনে হলেও দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যে তার জন্ম। নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের জন্ম ১৯৫১ সালের ২ জানুয়ারি কেরালার কোট্টায়ামে। ১৯৭৭ সালে আইএএসে যোগ দেন সি ভি আনন্দ বোস। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে যদিও তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ম্যান অফ আইডিয়া’ হিসাবেই পরিচিত। আনন্দের ভাবনা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কাজে লাগানো হয়েছে। বিশেষ করে দেশের সবার জন্য পাকা বাড়ির ভাবনাটি মোদী নিয়েছিলেন তাঁর কাছ থেকেই। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব হিসাবে কাজ করেছেন আনন্দ। এ ছাড়াও কেরল সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রধান সচিব হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন। পেয়েছেন ২৯টি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কারও। কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আনন্দ নিজের শিক্ষাজীবনে একশোটিরও বেশি পদক পেয়েছেন। যার মধ্যে ১৫টিই স্বর্ণপদক। সুবক্তা হিসাবেও নাম ছিল তাঁর। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন পর পর তিন বছর সেরা বক্তার স্বীকৃতি ছিল তাঁরই দখলে। এমনকি, মুসৌরির লালবাহাদুর শাস্ত্রী আইএএস ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতেও বিতর্ক সভায় প্রথম হয়েছিলেন আনন্দ। আনন্দ শুধু সুবক্তা নন, লেখালেখিরও অভ্যাস রয়েছে বাংলার নতুন রাজ্যপালের। ইংরাজি, হিন্দির পাশাপাশি মালয়ালমে ছোট গল্প, কবিতা, উপন্যাস লিখেছেন সি ভি আনন্দ বোস। তাঁর লেখা বেশ কিছু বই বেস্ট সেলারও হয়েছে। জানা গিয়েছে ,কলকাতার সঙ্গেও যোগ রয়েছে আনন্দ বোসের। কর্মজীবনের শুরুতে এসবিআইয়ের অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর কথায়,'বাংলা বিশেষ করে কলকাতার সঙ্গে আমার আবেগ জড়িয়ে। কলকাতায় এসবিআই-র প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে কাজ করেছি। সামান্য বাংলাও জানি। প্রতিদিন একটি করে বাংলা শব্দ শেখার চেষ্টা করব।' ইতিমধ্যে তাকে স্বাগত জানিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইটারে লিখেছেন, "বাংলার রাজ্যপাল পদে সি ভি আনন্দ বোসের নিয়োগকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি ৷"

#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image


Journalist Name : Susmita Das

Related News