আল কায়েদা সন্দেহে গ্রেফতার মাদ্রাসার শিক্ষক

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

মেধাবী ছাত্র আমির উদ্দিন। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনাতে খুব ভাল ছিল সে এবং তার ইচ্ছা এবং স্বপ্ন দুটোই উচ্চগামী। বাড়ি হাওড়া জেলার মাসিলা গ্রামের পাঠান পাড়ায়। কিন্তু সেখান থেকে তার পড়াশোনার জন্য তেমন সুযোগ না পাওয়ায় উচ্চ শিক্ষার জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশে। সেখানে গিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য একটি মাদ্রাসায় আবাসিক পাঠ শুরু করেন ২০০৩ এ। সেখানে মাদ্রাসার পাঠ শেষ করে বাড়ি ফেরার কথা ভাবেনি সে। সেখানকার মাদ্রাসার পাঠ শেষ হলে কাশ্মীরের রাম বনে চলে যায়। সেখানে গিয়ে একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজ শুরু করে এভাবেই দিন চলছিল তার এবং হঠাৎই একটি বিয়ে করে ফেলেন। কিন্তু তার এবং তার স্ত্রীর তার বাড়ির সঙ্গে তেমন কোন যোগাযোগ ছিল না যদিও তার বাড়ির লোকের সাথে আমির উদ্দিন নিয়মিত ফোনে কথা বললেও তার স্ত্রীর সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ ছিল না আমির উদ্দিনের বাড়ির লোকের। কিন্তু আত্মীয়-স্বজন এবং গ্রামের লোকেদের কাছে আমির উদ্দিন একজন মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত ছিল। কিন্তু হঠাৎই সাঁকরাইল এর মাশিলা গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন আমিরুদ্দিন খান আল-কায়েদা জঙ্গি। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী এর আগেও উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসায় পড়াশোনা করা মালদহের এক যুবককে এই অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছিল,তবে কি আমির উদ্দিন সেই দলেরই? সেই উত্তর পাওয়ার জন্য পুলিশ ক্রমাগত জেরা করছে আমির উদ্দিনকে।



পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,  এই মাদ্রাসায় পঠন-পাঠনের সময়ই ছাত্রদের মগজ ধোলাই করা হয়ে থাকে। কিন্তু পুলিশের প্রশ্ন আমির উদ্দিন এই মাদ্রাসায় শিক্ষকতার কাজ পেল কিভাবে? আর উচ্চ শিক্ষার জন্য সে এই কাশ্মীরকেই বা বেছে নিল কেন? এসব উত্তর আমিরুদ্দিনের মুখ থেকে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও আদতে কি সে একজন জঙ্গি এর উত্তর কে দেবে? তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। তবে প্রথমেই তার সম্বন্ধে যেটি উঠে এসেছে সে একজন খুবই ভালো এবং মেধাবী ছাত্র । এই সমস্ত কাজে কোনভাবেই সে জড়িত থাকতে পারে না এমনটাই জানা যাচ্ছে। এবং তার এই জঙ্গি কার্যকলাপের বিষয়ে তার স্ত্রী কিছু জানতেন কিনা তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে তার বাড়ির লোকের মুখে একটাই দাবি তাদের বাড়ির ছেলে আমির উদ্দিন কখনোই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে না, পুলিশ মনগড়া গল্পে না দিয়ে তারা প্রমাণ করে দেখাক যে এই কথা সত্যি। তার দাদা আজহারউদ্দিন বলেন আমরা পাঁচ ভাই তার মধ্যে আমির উদ্দিন মেধাবী ছাত্র হওয়ায় উচ্চ শিক্ষার জন্য উত্তর প্রদেশে গিয়ে মৌলভী হওয়ার জন্য পড়াশোনা শুরু করে এবং পড়াশোনার পাশাপাশি সেখানে একটি কাপড়ের ব্যবসা ও সে করতো এবং এই সমস্ত কাজের মধ্য দিয়ে এরকম জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকা তার পক্ষে সম্ভব নয় এবং আমরা বিশ্বাস করি না যে সে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। আমির উদ্দিনের আরেক দাদা আলমগীর খান জানান মঙ্গলবার সকালে আমরা এই খবর পাওয়ার পরে তাদের ভাই আমিরউদ্দীনকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কোনো খবর তারা পাননি। এবং কাশ্মীরে কোন পরিচিতি ও তাদের নেই। এদিকে তার স্ত্রীর সঙ্গেও তাদের কোনো রকম যোগাযোগ ছিল না এতদিন,তাই কোন খবর পাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। ফলে চিন্তায় পড়েছেন বাড়ির লোক। পুলিশ সূত্রে খবর এসেছে আমির উদ্দিনের বাড়ির আর্থিক অবস্থা যদিও ভালো নয় কিন্তু সরকারি কোটায় একটি ঘর তারা পেলেও অভাব কিন্তু থেকে গেছে ,তবু ও তাদের বিশ্বাস তাদের ছেলে আমিরুদ্দিন এই কাজে যুক্ত হতে পারে না।তবে খোজ চালাচ্ছে পুলিশ।

#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image

Journalist Name : Joly Pramanick

Tags:

দেশ
Related News