শিশু দিবসের গুরুত্ব

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk :

আয়রে খোকা আয়রে সোনা 

আয়রে সবাই আয়

ইচ্ছে খুশির স্বপ্নে ভেসে

মাতবো আজি আয়

ছুটবো খেলবো সারা বেলা 

আজ যে শিশুর ছুটি

মন মাতিয়ে করব খেলা

খুশিতে লুটোপুটি

মস্ত ভারী স্কুল ব্যাগটা 

আর যে পারিনা

পিঠে ব্যথা কাঁধে ব্যথা 

বইতে পারিনা

মোটা মোটা বইগুলি সব 

আসছে ছুটে ধেয়ে

বড্ড কষ্ট পড়তে এসব 

জল পড়ে গাল বেয়ে

আজ যে খুশির শিশু দিবস 

সবাই আমরা স্বাধীন

ইচ্ছামত ঘুরবো আজই

খুশি যে সীমাহীন।।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিশু দিবস পালিত হয়, বিভিন্ন সময়। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু কাছে পরিচিত ছিলেন 'চাচা নেহেরু' নামেই। তিনি ছোটদের সঙ্গে সময় কাটাতে খুব ভালোবাসতেন। ১৯৬৪ সাল‌ পর্যন্ত সারা দেশে ২০ই নভেম্বর শিশু দিবস পালন করা হত। তারিখটি ঠিক করা হয়েছিল জাতিসংঘের তারিখ অনুযায়ী। তবে নেহেরুর মৃত্যুর পর তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে তারিখ পরিবর্তন করে ১৪ তারিখ শিশু দিবস পালিত হয়। জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক অভিজ্ঞ নেতা এবং স্বাধীনভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু। নেহেরুর বাচ্চাদের প্রতি কোমল ভাব ছিল। তিনি বাচ্চাদের শুধু যে ভালোবাসতেন তা নয়। নানারকম কল্যাণমূলক প্রকল্পের সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন তাঁর সময়। তাঁর ভাবনা ছিল, এই উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে বাচ্চারা একদিন দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা করে নেবে। দেশ কোন পথে এগোবে তাও ঠিক করে দেবে তাদের শিক্ষার গুণমান। শিশুদের শুধু ভালবাসা নয়, যথাযাথ ভাবে বড় করার ব্যাপারেও জোর দিয়েছেন নেহরু। আর তাই একবার তিনি বলেছিলেন, আজ আমরা যেভাবে শিশুদের বড় করব, কাল সেভাবেই তারা দেশ চালাবে। আর এই ভাবনা থেকেই দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পথ চলা শুরু হয় নেহরুর সময়। নেহরু সাহেব সবসময় শিশুদের গুরুত্ব দিতেন। তাঁদের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করতে চাইতেন। তিনি জানতেন, আমাদের দেশের আগামীর ভবিষ্যৎ শিশুরা। তারাই গড়বে দেশকে। ভাল চিকিৎসা ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে আইএমএস-এর সূচনা করেন নেহরু। আইআইটিও তাঁরই উর্বর মস্তিস্কের ফসল। তাছাড়া ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট তৈরির সিদ্ধান্তও তাঁর। তাই স্বাধীনতা সংগ্রাম বা প্রধানমন্ত্রিত্বের বাইরে গিয়ে শিশুদের জন্য তাঁর অবদানকে মনে রেখেই পালিত হয় শিশু দিবস। এই দিনে শিশুদেরকে আনন্দ দেওয়ার জন্য স্কুল ও শিক্ষাক্ষেত্র গুলিতে পড়াশোনার পরিবর্তে বিশেষ অনুষ্ঠান, ক্যুইজ শো ইত্যাদির আয়োজন করা হয়।তাদের জন্য থাকে উপহার, খাওয়া -দাওয়ার আয়োজন। বর্তমানে বিভিন্ন শপিং মল, বিনোদন পার্ক রেস্তোরাঁতে থাকে শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন। এমনকী কিডস আইটেম কেনাকাটায় থাকে বিশেষ ছাড়। এইসবের মধ্যে দিয়ে "চাচা" জি কেও বিশেষভাবে স্বরণ করা হয়।

#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image



Journalist Name : Aparna Dutta