'শৃঙ্খলাভঙ্গের' মারাত্মক অভিযোগ মেসির আর্জেন্টিনা এবং নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে!জিতেও ফিফার শাস্তির মুখে মেসিরা

banner

#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:

কোয়ার্টার ফাইনালের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে আর্জেন্টিনার জয় ছাপিয়ে আলোচনায় রেফারি আন্তোনিও মাতেউ লহোজ। স্পেনের এই রেফারি দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ১৫টি কার্ড দেখিয়েছেন। এর মধ্যে আটটি হলুদ কার্ড দেখেছেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা।

নেদারল্যান্ডসের ফুটবলাররা দেখেছেন ছ'টি হলুদ কার্ড এবং সঙ্গে রয়েছে একটি লাল কার্ড। সেই তালিকায় আবার রয়েছেন লিওনেল মেসি। তাই ম্যাচ শেষ হতেই এহেন স্প্যানিশ রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে, ফিফা-র কাছে অভিযোগ করলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। এমনকি সেই ম্যাচে বারবার দু'দলের ফুটবলারা ঝামেলায় জড়িয়েছেন। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি ফিফা। তাই দুই দলের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে! দোষী সাব্যস্ত হলে দুই দলেরই ১৬ হাজার ডলার জরিমানা হতে পারে।
আসলে আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি ছিল বিশ্বকাপে স্মরণাতীতকালের সবচেয়ে বিতর্কিত ম্যাচ। বিতর্কের অন্যতম কারণ স্প্যানিশ রেফারি মাতেউ লাহোজ। গোটা ম্যাচে মোট ১৬টি হলুদ কার্ড দেখান তিনি। এই ধরনের বড় ম্যাচে শুরু থেকেই ফুটবলারদের নিয়ন্ত্রণ করেন রেফারিরা। সেটা করতে গিয়ে ল্যাজেগোবরে হয়ে যান স্প্যানিশ রেফারি। উলটে তাঁর আচরণে ক্ষোভ বাড়তে থাকে আর্জেন্টিনার। সেই রাগ গিয়ে পড়ে বিপক্ষ ফুটবলারদের উপরে।
এক সময় আর্জেন্টিনা এবং নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চের সদস্যরা একে অপরের বিরুদ্ধে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। আর্জেন্টিনার মার্কোস আকুনা একটি ফাউল মানতে না পেরে সপাটে নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে শট মারেন। তার পরেই দু’দলের ফুটবলারদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। এমনকী বরাবরের শান্ত স্বভাবের মেসিও ঝামেলায় জড়ান। নেদারল্যান্ড কোচকে গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ।
দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে দুই দলের ফুটবলাররা বার বার ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। রেফারি একের পর এক হলুদ কার্ড দেখানোর কারণে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একসময় আর্জেন্টিনা এবং নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চের সদস্যরা ঝামেলায় জড়ান। আর্জেন্টিনার মার্কোস আকুনা একটি ফাউল মানতে না পেরে সপাটে নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে শট মারেন। তারপরেই দু'দলের ফুটবলারদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়।
এমনকী স্বয়ং মেসি নেদারল্যান্ডসের কোচ লুইস ভ্যান হালের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করেন। পেনাল্টি বাঁচিয়ে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তোলার পর গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ডাচ কোচকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। ম্যাচে ৮ জন আর্জেন্টাইন ফুটবলারকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে। সাধারণত কোনো দল পাঁচটি হলুদ কার্ড দেখলে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত করে ফিফা। এ কারণেই আর্জেন্টিনার পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হবে।
ফিফা সূত্রের খবর, কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা এবং নেদারল্যান্ডস দু’দলের বিরুদ্ধেই শৃঙ্খলাভঙ্গ করার অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি ভাল ভাবে নিচ্ছে না বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এমনিতে যে কোনও ম্যাচে কোনও দল পাঁচের বেশি হলুদ কার্ড দেখলেই তাঁদের জরিমানা করা হয়। সেই জরিমানার অঙ্কটা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। নেদারল্যান্ডস ম্যাচের জন্য মেসিদের সেই জরিমানা গুণতেই হবে। সেই সঙ্গে অন্য কোনও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি বাড়তে পারে আর্জেন্টিনার। তবে, সেই শাস্তির কথা কবে জানানো হবে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।

Journalist Name : Sampriti Gole

Related News