চুলের খুশকি নিয়ে কম-বেশি আমরা সবাই-ই সচেতন আর সেটার প্রতিষেধকের কথাও জানি ভালোভাবেই। কিন্তু খুশকি কেবল মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পেই হয় না, ভ্রু এবং চোখের পাতায়ও হতে পারে। যা খুবই অস্বস্তির।আর এতে সমস্যাও দেখা যায় অনেক বেশি। সাধারণত ব্লেফারিটিস, জাঙ্ক ফুড খাওয়া, জল কম খাওয়া ও অস্বাস্থ্যকর দৈনন্দিন কর্মতালিকার কারণে ভ্রুতে খুশকি দেখা দিতে পারে। আর সেটা একটাসময় ছড়িয়ে যেতে পারে চোখের পাতাতেও।
ভ্রুতে খুশকি থেকে মুক্তি পেতে জরুরি টিপসগুলি জেনে নিন-
টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করুন
চা গাছের তেল একটি অ্যারোমাথেরাপি পণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ত্বকের অতিরিক্ত তেব অপসারণের জন্য ক্লিনজার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। রাতে টি ট্রি অয়েলের কয়েক ফোঁটা দিয়ে ভ্রু মাসাজ করতে পারেন। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শুষ্ক ত্বককে হাইড্রেট করতেও সাহায্য করে।
লেবুর রস
চুল থেকে খুশকি দূর করতে অনেকেই লেবুর রস লাগান। ভ্রু থেকে খুশকি দূর করতে লেবুর রসও ব্যবহার করতে পারেন। আসলে লেবুর রসে থাকে সাইট্রিক অ্যাসিড, যা আমাদের ছত্রাকের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। ভ্রুতে লেবুর রস লাগাতে প্রথমে লেবুর রস নিন। এবার এতে সামান্য জল দিন। এরপর তুলোর সাহায্যে এই মিশ্রণটি আপনার ভ্রুতে লাগান। তবে খেয়াল রাখবেন মিশ্রণটি লাগানোর সময় চোখ যেন বন্ধ থাকে। যদি এটি আপনার চোখে পড়ে তবে এটি জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। প্রায় 15 মিনিট পর স্বাভাবিক জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ভ্রুর খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
নিমের তেল
নিমে আছে ব্যাক্টেরিয়া ও প্রদাহ রোধী উপাদান, যা ত্বকের যে কোনো সমস্যা দূর করে। ভ্রুতে নিম তেল ব্যবহার করেও খুশকি দূর করা যায়।
লবণ
ভ্রুতের খুশকি দূর করার প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে লবণ ব্যবহার করতে পারেন। এটা ত্বক এক্সফলিয়েট করে এবং দাগ কমায়। এক চিমটি লবণ নিয়ে তা ভ্রুতে আলতোভাবে মালিশ করুন।
কাঠবাদাম তেল
কাঠবাদাম তেল গরম করে কয়েক ফোঁটা হাতে নিয়ে ভ্রু’তে মালিশ করুন, খুশকি দূর হবে। তাছাড়া কাঠবাদামের তেল মালিশ করলে চুল পড়াও কমবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তেল মালিশ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। সকালে উঠে ভালো মতো জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
অ্যালো ভেরার জেল
ত্বকের যে কোনো সমস্যায় অ্যালো ভেরা খুব ভালো সমাধান। কিছু খাঁটি অ্যালো ভেরা জেল ভ্রুতে মালিশ করুন। পরে কুসুম গরম জল দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন।
গরম সেঁক
গরম জলে পরিষ্কার হ্যান্ড টাওয়েল ভিজিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।এরপর এই ভেজা তোয়ালে চোখের উপর ১৫ মিনিট রেখে দিন। তোয়ালে ঠাণ্ডা হয়ে গেলে আবারও গরম জলে ভিজিয়ে নিতে পারেন। গরম সেঁক দিলে লালচে ভাব, জ্বালা, ব্যথা, চুলকানি এবং শুষ্কতা থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলতে পারে।
অলিভ অয়েল
এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল হালকা গরম করে চোখের পাতা এবং ভ্রুতে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। তারপর গরম জলে পরিষ্কার হ্যান্ড টাওয়েল ভিজিয়ে চোখের উপর ১৫ মিনিট রেখে দিন। এবার হালকা গরম জল দিয়ে চোখ এবং ভ্রু ধুয়ে ফেলুন। অলিভ অয়েল চোখের পাতা এবং ভ্রু-র চারপাশের ত্বক হাইড্রেট করে এবং খুশকি দূর করে।
মেথি বীজ
যাদের ভ্রুতে খুশকি হয় তাদের ভ্রুর লোম পড়ার সমস্যাও দেখা দেয়। মেথি বীজ অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা খুব ভালো এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। সারা রাত মেথি বীজ জলে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে গুঁড়ো করে ভ্রুতে ব্যবহার করতে পারেন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম জল দিয়ে তা ধুয়ে ফেলতে হবে।