পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে দলীয় বৈঠকে অমিত শাহ, দলের উদ্দেশ্যে দিলেন বিশেষ বার্তা

banner

#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:

শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের দ্বৈরথের আবহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলায় এলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে  সোজা গেলেন মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির পার্টি অফিসে। বঙ্গ-বিজেপির নেতাদের সঙ্গে মুরলীধর সেন লেনে আধ ঘণ্টা বৈঠক অমিত শাহের। সেখানে শুভেন্দু-সুকান্ত-দিলীপ ছাড়াও ১৪ জন বিজেপি নেতা-নেত্রীর উপস্থিতিতে সাংগঠনিক বৈঠকে সারলেন এবং প্রয়োজনীয় বার্তা দিলেন নেতৃত্বকে।

সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠনকে মজবুত করা ও একযোগে কাজের বার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ। সূত্রের দাবি,  ‘শাহি-বার্তা’, রাজ্যে প্রচুর বিজেপি সমর্থক রয়েছেন। সকলের কাছে পৌঁছতে হবে। সূত্রের খবর, ওইদিন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব অমিত শাহকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে বলেন। নিয়োগ থেকে আবাস যোজনা, সমস্ত বিষয়ই দিলীপ ঘোষরা তুলে ধরেন। পাল্টা অমিত শাহও জানান, কেন্দ্র সব বিষয়েই খবর রাখে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের আগে যাবতীয় রণকৌশল ঠিক করাই এই সাংগঠনিক বৈঠকের অন্যতম উদ্দেশ্য।
 সংবাদ সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে ,  ওই বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন,“একাধিক সমস্যা এ রাজ্যে। যা দুর্নীতি চলছে, সে ব্যাপারে আমাদের লোকজন বললেন। আমাদের কর্মীদের অবস্থান, সমাজ কী ভাবছে, ক্ষমতাসীন দলের কী অবস্থান সবই তুলে ধরা হয়েছে। এখানে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা-সহ একাধিক সমস্যাই বলা হয়েছে। উনি যেটা বললেন আমাদের সমর্থকরা একই আছেন। হয়ত আমরা এখন তাঁদের কাছে পৌঁছতে পারছি না। যত তাড়াতাড়ি পৌঁছনো যায় তার ব্যবস্থার নির্দেশ দিলেন।”
দিলীপ ঘোষের কথায়, বিজেপির একটা সাংগঠনিক ধরন আছে। তা মেনেই কাজ চলছে। পঞ্চায়েত সম্মেলনও হচ্ছে। তবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকার বার্তা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ঐক্যবদ্ধের বার্তা দেওয়ার তো বিষয় নেই। ঐক্যবদ্ধই তো আছে।” 
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে গত বেশ কিছুদিন ধরে শুভেন্দু অধিকারী ডিসেম্বর-ডেডলাইন নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তারপর তাঁর দিনক্ষণ ঘোষণা ও পরে তাতে বদল নিয়ে কম জল্পনা হয়নি। যার মাঝেই প্রকাশ্যে এসে পড়ে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্যও। 
 সংবাদ সূত্র মাধ্যমে জানা গিয়েছে , গতকাল  বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, “আমাদের আরও সক্রিয় হতে বলেছেন। সংগঠন ও আন্দোলনকে মজবুত করেই এই সক্রিয়তা আমরা বাড়াব।”

সংবাদপত্র মাধ্যমে জানা গিয়েছে,শাহের এ বারের সফরের মূল কর্মসূচি শনিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পূর্বাঞ্চল পরিষদের (ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিল) বৈঠক।  প্রসঙ্গত ,পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয়, নিরাপত্তা, সমস্যা সমাধানের কৌশল ইত্যাদি বিষয়কে সামনে রেখে গত ৫ নভেম্বর নবান্ন সভাঘরে পূর্বাঞ্চল পরিষদের ওই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ওই বৈঠকে পৌরোহিত্য করার কথা ছিল শাহের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা পিছিয়ে যায়। এ বার সেই সরকারি বৈঠকে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
 সংবাদপত্র মাধ্যমে জানা গিয়েছে ,ওই দিন  দিন বিমানবন্দরে শাহকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে মুরলী ধর সেন লেনে আসার পথে শাহের সঙ্গে একই গাড়িতে দেখা যায় সুকান্ত এবং শুভেন্দুকে। জানা গিয়েছে ,ওইদিন শাহের সফর ঘিরে কলকাতা বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছিল। হাজির ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা।

Journalist Name : Susmita Das

Related News