শীতে গরম জল খাওয়া ভালো নাকি খারাপ

banner

#Pravati Sangbad digital Desk:

গরম জল মেদ কমায়। নিয়ন্ত্রণে রাখে ওজন। তাই অনেকেই ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস গরম জল খেয়ে দিন শুরু করেন। রাতের খাবার খাওয়ার পর সেই জল ঢোকে শরীরে তার পর অনেকেই আর খান না। ঘুম থেকে উঠে আবার জল খান। ফলে ৭-৮ ঘণ্টা বিনা জলেই কাটাতে হয়। তার পর উষ্ণ জল খেয়ে অনেকে দিন শুরু করেন। তা ওজন ঝরাতে,খাবার হজমে এমনকি কিডনির কার্যকারিতা বজায় রাখতেও কার্যকর।

অনেকেই শীতে হালকা গরম জল খেয়ে থাকেন। এ অভ্যাস শরীরের জন্য ভালো নাকি খারাপ তা হয়তো অনেকেরই অজানা। 

এ বিষয়ে ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশানে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বলছে, শীত কিংবা গ্রীষ্মে গরম জল খাওয়ার কোনো অপকারিতা নেই।

বরং রয়েছে নানা উপকারিতা। তবে এর জন্য বেশি গরম জল খাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র হালকা গরম পানিতেই শরীরে ক্ষতি না হয়ে মিলবে হাজারো উপকারিতা।

শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক এমনকি গর্ভাবস্থাতেও এ উপকারিতা পাওয়া যায়। ডায়েটেশিয়ানদের মতে, নিয়মিত হালকা গরম জল খাওয়ার অভ্যাসে মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়, ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ে, হজম শক্তি বাড়ে, বুকব্যথা এবং সর্দি-কাশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। বন্ধ নাক খুলে যায়।

প্রাকৃতিক উপায়ে শরীর পরিষ্কার করে বিষাক্ত টক্সিন বের করতেও ভালো কাজে আসে হালকা গরম জল খাওয়ার অভ্যাসে। এতে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ কিংবা বলিরেখা সহজে পরতে পারে না।

যারা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন, ঠিক সময়ে ঘুমাতে পারেন না কিংবা মুখে ব্রণের সমস্যা কোনোভাবেই সারছে না তারা নিয়মিত হালকা গরম জল খাওয়ার অভ্যাস করুন। একমাসেই আপনার মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।

চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি কিংবা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও দারুণ কাজে আসে হালকা গরম জল খাওয়ার অভ্যাস। তাই গরম আবহাওয়ার কারণে যারা এ অভ্যাস করতে পারেননি তারা এই শীতেই হালকা গরম জল খাওয়ার অভ্যাস শুরু করতে পারেন।

জলের তাপমাত্রার সঙ্গে শরীরের কোনও সম্পর্ক নেই বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা বলছেন, ঘুম থেকে উঠে জল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গরম ও ঠান্ডার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। আর জল যখন পেটে পৌঁছয়, তখন জলের তাপমাত্রা শরীরের তাপমাত্রার কাছাকাছি চলে। উষ্ণ জলের প্রভাব শ্বাসযন্ত্রের উপর পড়লেও শারীরবৃত্তীয় কাজে তেমন কোনও প্রভাব নেই। তাই সকালে উঠে গরম বা ঠান্ডা ছেড়ে যে কোনও তাপমাত্রার জল খান নিশ্চিন্তে।

Journalist Name : Sampriti Gole