রাজনৈতিক মহল থেকে অভিনয় জগৎ সকলেই বিস্মিত নন্দনে ঠাঁই হলনা দেবের 'প্রজাপতি'

banner

#Pravati sangbad Digital Desk:

বাংলার প্রায় সব সিনেমাহলে মুক্তি পেলেও নন্দনে পায়নি ঠাঁই ' প্রজাপতি '। 

‘প্রজাপতি’র বসতে পারেনি নন্দনে। কেন? তার কারণ বিশ্লেষণে বাংলায় এখন রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” কলকাতার সবথেকে সুন্দর হল সেখানে শো দেওয়া হল না। তাদেরই সাংসদ সেখানে অন্যতম তারকা। সেটাই তো। মিঠুনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে বলে, তাকেও কোনঠাসা করার চেষ্টা।” দেবে-র সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়েও বিস্ফোরণ অভিযোগ করেছেন দিলীপ। বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষও বলেন, ” দেবকে তৃণমূল ব্যবহার করেছে। একসময় সিনেমা রিলিজ বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। জোর করে টিকিট দিয়ে ওকে সাংসদ করেছে।”

এই মুহূর্তে দেবের প্রথম পরিচয় তিনি একজন তৃণমূল সাংসদ এবং একাধারে তিনি একজন অভিনেতা-সাংসদ। তাঁর নতুন ছবি প্রজাপতি-র মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী, যাঁর কিনা আরও একটা পরিচয় তিনি বর্তমানে বিজেপি নেতা। একুশের নির্বাচনের ব্রিগেডের মঞ্চে তৃণমূল ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে গিয়েছিলেন মিঠুন। এবারের নন্দনে দেবে-র সিনেমা দেখানো হচ্ছে না। তাতে যে মন খারাপ দেবের, তা তিনি টুইটেই প্রকাশ করেছেন। অনেকে আবার মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের একজন সদস্য থাকায় হয়তো অভিযোগ উঠছে। মিঠুন অভিনীত দেবের সিনেমা নন্দনে না দেখানোর পিছনে শাসকদলের রাজনৈতিক অভিসন্ধীই কাজ করছে। দিলীপ ঘোষ সাফ জানিয়েছেন, “যেন বাবার সম্পত্তি। পার্টির সম্পত্তি। মিসইউজ চলছে। যাদের নামে লোক হলে আসে, তাঁদের দূরে রাখার চেষ্টা চলছে। রাজ্যের সুপার স্টার মিঠুন চক্রবর্তী। বহুদিন পর একটা বাংলা ছবি করলেন। লোকে মুখিয়ে আছে। বয়কটের হুমকি। দেবকে তৃণমূল ব্যবহার করেছে। একসময় সিনেমা রিলিজ বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। জোর করে টিকিট দিয়ে ওকে সাংসদ করেছে। এদের কাছে আর কিছু আশা করা যায় না। এরা রাজনীতি ছাড়া আর কিচ্ছু বোঝে না।” এই প্রসঙ্গে অনেকেই দেবের টুইট নিয়ে অন্যরকম কিছু গন্ধ পাচ্ছেন। অনেকে আবার মনে করছেন অস্পষ্ট রাজনৈতিক কারণ আছে নেপথ্যে। এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের নেতা ফিরহাদ হাকিম।

ফিরহাদ হাকিম বলেন পদ্ধতিগত কারণে দেবের ছবি শো পায়নি নন্দনে। শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর দেব এই বিষয়ে টুইট করেন। তিনি লেখেন, 'এই বার তোমায় মিস করব নন্দন। কোনও সমস্যা নেই, পরে আবার দেখা হবে।' অনেকেই এর পর গোটা বিষয়টা নিয়ে সমালোচনা শুরু করেন। অনেকের মতেই যেখানে খোদ তৃণমূল সাংসদ নন্দনে শো পাচ্ছেন না সেখানে অন্য পরিচালক, প্রযোজকদের কী হবে তাহলে? এই প্রশ্ন উঠছে। অনেকে আবার মনে করছেন এই ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী আছেন বলেই হয়তো এই ছবির ঠাঁই হয়নি নন্দনে। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় হয়তো বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অভিনেতা কৌশিক সেন বলেন, 'যাঁরা ছবির দেখতে ভালোবাসেন তাঁদের জন্য খারাপ খবর। অনেকেই কেবল নন্দনে ছবি দেখেন। তাঁরা হয়তো অপেক্ষা করছিলেন। অপরাজিতর ক্ষেত্রেও এক জিনিস হয়েছিল। এবারও তাই হল। ফলে রাজনৈতিক কারণ খুঁজলে খুব একটা অন্যায় হবে না।'

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News