গোটা বিশ্ব নিজেদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে এসেছিল ঠিক তখনই আবার মাথা নাড়িয়ে উঠলো করোনা ভাইরাস। শীতের শুরুতে এর উপদ্রব শুরু হয় আবার। তবে CSIR- সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান , করোনা ভাইরাসের BF.7 এর তীব্রতা চিনের মতো গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারবে না ভারতে। কারণ ভারতীয়রা ইতিমধ্যে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তুলেছে।
সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি এর ডিরেক্টর বিনয় কে নন্দিকুরি কোভিডবিধি অনুসরণের উপর যথেষ্ট জোর দিয়েছেন৷ বিশেষজ্ঞদের মতে , কোভিডের সমস্ত ভ্যারিয়েন্টেরই আবার আক্রান্ত করার ক্ষমতা রয়েছে৷ এমনকি, টিকাকরণ হওয়ার পরেও আশঙ্কা থাকতে পারে। ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিরও কোভিড হতেইপারে৷
পুনরায় চিনে বেড়েই চলেছে কোভিড আতঙ্ক৷ ফলে অন্য দেশগুলির মধ্যেও আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে৷ তবে এবার করোনা ভাইরাসকে আটকাতে তৎপর ভারত। রাজ্যগুলিকে মক-ড্রিল করতে বলল কেন্দ্র। যাতে দেশে কোভিডের সংক্রমণ বাড়লে দ্রুত সমাধান করা যায়৷ হাসপাতালে বেড , ওষুধ ও অক্সিজেনের সরবরাহ মজুত রাখবে দেশ৷
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ এর সময় ঘাটতি পড়েছিল অনেক কিছুর৷ অক্সিজেনের অভাবে একের পর এক মানুষ মারা গিয়েছিল৷ হাসপাতালের বেডে রোগীর ছড়াছড়ি ছিলো। বহু মানুষ হারিয়েছিল তাদের প্রিয়জন , পরিবারকে। এবারে যাতে সকল মানুষ সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে তার জন্য ভারত আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে।
স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানান , যে কোনো জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এ দিল্লী সহ দেশের প্রায় প্রতিটি শহরেই অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছিল। নতুন পরামর্শে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন সমস্ত রাজ্যের অক্সিজেনের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
চলতি বছরের ২৭ শে ডিসেম্বর সারাদেশে মক ড্রিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হবে , আইসোলেশন বেড মজুত রাখা , আইসিইউ বেড এবং ভেন্টিলেটর বেড মজুত করা৷ মক ড্রিলটি ডাক্তার, নার্স এবং প্যারামেডিকাল স্টাফদের বোঝানো হবে৷
আরটি-পিসিআর ও অ্যান্টিজেন কিটগুলি যাতে সহজে পাওয়া যায় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে৷ কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে চিন-সহ পাঁচটি দেশ থেকে সম্প্রতি আসা যাত্রীদের জন্য এখন আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হবে।