শিবঠাকুরকে খুনের চেষ্টার মামলায় অবশেষে জামিন অনুব্রত মণ্ডলের। সংবাদ মাধ্যমে সূত্রে জানা গিয়েছে ,অনুব্রত মণ্ডলকে আরও ৭ দিন হেফাজতে রাখার পুলিশের আবেদন খারিজ করে দুবরাজপুর আদালত। ১ জানুয়ারি ফের দুবরাজপুর আদালতে পেশ করতে হবে তাঁকে। তত দিন পর্যন্ত আসানসোল জেলেই রাখা হতে পারে অনুব্রতকে। গতকাল দুবরাজপুর কোর্টে এই মামলার কেস ডায়েরি পেশ করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত ,খুনের চেষ্টার অভিযোগে শিবঠাকুর মণ্ডল মামলা করেছিলেন গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান দাবি করেছিলেন একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তাঁকে খুনের চেষ্টা করেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, 'বললাম, দাদা দল আমি করব না। আমি প্রয়োজন হলে বসে যাচ্ছি। তখন উনি রেগে গিয়ে আমার গলা চেপে ধরেন এবং প্রাণে মারার চেষ্টা করেন। অনুব্রত মণ্ডল একা এবং তাঁর সঙ্গে এক জন সিকিউরিটি ছিল।' কিন্তু সেই ঘটনার এত দিন পর কেন তিনি মামলা করলেন, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠলে শিবঠাকুর জানান এই মুহূর্তে জেলার দাপুটে নেতা জেলবন্দি। তাই সাহস সঞ্চয় করে অভিযোগ করেছেন তিনি। তার পরই মামলা ওঠে দুবরাজপুর কোর্টে। কিন্তু ওদিনের জামিনের পর আদৌ কতটা সুবিধা হল অনুব্রতর? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এর মধ্যেই। প্রসঙ্গত, আগেই তাঁকে সাসপন্ড করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
সংবাদ সূত্র মাধ্যমে জানা গিয়েছে ,ওদিন জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। পাল্টা তদন্তের স্বার্থে পুলিশ অনুব্রতকে আরও সাতদিন হেফাজতে রাখার আর্জি জানায় আদালতে। সরকারি আইনজীবীর দাবি ছিল, অনুব্রত তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। ফলে আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের দরকার আছে। কিন্তু রাজ্য পুলিশের আবেদন শেষ পর্যন্ত খারিজ করে দেন বিচারক। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির জামিন মঞ্জুর হয়।
আপাতত পুলিশ সূত্রে খবর, অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হবে আসানসোল জেলে। কারণ গরু পাচার মামলায় এখনও তাঁর নিস্তার মেলেনি।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই অনুমতিও মিলেছিল আদালতের।
কিন্তু দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আগেই তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডলের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দুবরাজপুর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে আসানসোল জেল থেকে দুবরাজপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। ফলে তাঁর দিল্লিযাত্রা আটকে যায়। ওইদিন জামিন মেলায় ফের কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রাথমিক বাধা কাটল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।