লালন মামলার রায়দান স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

banner

#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:

লালন শেখের রহস্য মৃত্যুতে   মানবাধিকার কমিশনের করা মামলার শুনানি শেষ। রায়দান আপাতত   স্থগিত রাখল হাইকোর্ট।

শৌচাগার থেকে  উদ্ধার হয় বগটুুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়, লালন আত্মঘাতী হয়েছে। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে লালনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। কিন্তু সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন কী্ভাবে মৃত্যু? ওঠে প্রশ্ন!লালনের স্ত্রীর দাবির প্রেক্ষিতে সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডি হাতে।

লালনের শেখের মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বাঁধার পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তদন্ত শুরু করে।
প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে সোমবার এই মামলার শুনানি হয়।

এদিনের শুনানির সময়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব জনস্বার্থী মামলাকারীকে প্রশ্ন করেন, “আপনি কি সমান্তরাল তদন্ত চাইছেন?” তখন আইনজীবী সব্যসাচী বলেন, “কোনও কমিশন বা কমিটি গঠন করে ঘটনাটির অনুসন্ধান করা হোক।”

প্রধান বিচারপতি ফের প্রশ্ন করেন, “আপনি কি অনুসন্ধান চাইছেন? তদন্ত তো চলছে। কী চাইছেন স্পষ্ট করে বলুন।” ফের জনস্বার্থ মামলাকারী বলেন, “এই ঘটনাটির অনুসন্ধান করার পর কোনও নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করা হোক।” রাজ্যের হাতে যাতে কোনওভাবেই তদন্ত ভার না দেওয়া হয়, তার জন্য সওয়াল করেন তিনি।

এরপর রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, "নতুন করে বিচারপতি নিয়োগ করে আর তদন্ত করার দরকার নেই আদালতের নির্দেশ মেনে সিআইডি তদন্ত করছে।হাই কোর্ট সিআইডির হাতেই তদন্ত ভার রেখেছে। সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না জানিয়েছে আদালত। সেই মতো তদন্ত চলছে।”

এরপর কেন্দ্রের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী বলেন “তদন্তের নামে আমাদের অফিসারদের অযথা হয়রানি করা হচ্ছে। সিআইডি এবং রাজ্য পুলিশ এফআইআর করার পিছনে নির্দিষ্ট কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে। তাঁরা আমাদের অফিসারদের নিজেদের কাজ করতে বাধা দিচ্ছে।”

সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী আরও বলেন, “মৃত্যুর ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এই ঘটনাটি সিবিআই নিজেই খতিয়ে দেখছে। শুধুমাত্র লালনের স্ত্রীর দাবির প্রেক্ষিতে সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হল। বারবার সিবিআইয়ের সম্মানহানি করতে উঠে পড়ে লেগেছে রাজ্য।”

কেন্দ্রের তরফে আইনজীবী আরও জানান, ১০ জন ডিআইজি এবং ২০ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসার তদন্ত করছে। তাঁদের হয়তো চেনেন না। কিন্তু যাঁরা নির্দিষ্ট একটি তদন্ত করছে। সেই সব অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে।

তিনি আদালতে উল্লেখ করেন, মৃত্যুর আগে লালনের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় জানানো হয়েছে, তিনি মানসিক এবং শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন।

কেন্দ্রের তরফে সওয়াল, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে রাজ্য পুলিশ ব্যর্থ। গরু পাচার কত বড় দুর্নীতি তার তদন্ত চলছে। সিবিআই একটি গুরুত্বপূর্ণ তদন্তকারী সংস্থা। এখন সিবিআই অফিসারদের সেই কাজে বাধা দেওয়ার কাজ চলছে।

 গোটা বিষয়টি শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

Journalist Name : Susmita Das

Related News