সোমবার ভোরে আরও একবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া

banner

#Pravati Sangbad digital Desk:

আবার তীব্রভাবে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প। এবার রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.২। সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ প্রবল কম্পন অনুভূত হয়। জানা গিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল ছিল ইন্দোনেশিয়ার সিনকিল শহরের ৪৮ কিনি দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৮ কিমি গভীরে। স্থানীয় সময় সাড়ে ৬টায় এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে ওঠে উৎসস্থল থেকে ১২০ কিমি দূরের জায়গাও। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এ দিন ভোরে আচমকাই ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের জেরে এখনও অবধি কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর মেলেনি। সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়নি এখনও অবধি। তবে ভূমিকম্পের মাত্রা অনেকটাই বেশি হওয়ায়, আফটার শকের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

১০ জানুয়ারি জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়া। বান্দা সাগরে ছিল ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল, কম্পনের মাত্রা ৭.৬। কম্পনে ইন্দোনেশিয়ার বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। কম্পন অনুভূত হয়েছে উত্তর অস্ট্রেলিয়াতেও। ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসন সূত্রে খবর, মালুকু প্রদেশের তানিম্বার দ্বীপপুঞ্জ থেকে থেকে প্রায় দেড়শো কিলোমিটার দূরে বান্দা সাগরে ছিল ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল। মূল ভূমিকম্পের পর অন্তত চারটি আফটারশকে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। আফটারশকগুলি এসেছে রিখটার স্কেলে তার তীব্রতা ছিল ৫.৫। কম্পনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে উত্তর অস্ট্রেলিয়াতে পর্যন্ত এটি অনুভূত হয়েছে। ৩ থেকে ৫ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল সেই কম্পন। কম্পনে ১৫টি বাড়ি ও দুটি স্কুল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তরফে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টায় নতুন করে আফটারশক হতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছে তারা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি সক্রিয় ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার উপর ইন্দোনেশিয়া অবস্থিত। এই অঞ্চলটিকে রিং অব ফায়ার বলা হয়। দেশটিতে আগেও বহুবার ভয়াবহ ভূমিকম্প এবাং আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটে। ইএমএসসি জানিয়েছে ভূমিকম্পটি হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৯৭ কিলোমিটার গভীরে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা থেকে স্থানীয় বাসিদের নিরাপদ এলাকায় চলে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছে তারা। ইএমএসসি বলেছে, “পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা বা দিন ধরে আফটারশক চলতে পারে। খুব প্রয়োজন না হলে, সুরক্ষার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে দূরে থাকুন, সতর্ক থাকুন এবং জাতীয় সরকারি নির্দেশ অনুসরণ করুন।” 

এর আগেও গত ২১ নভেম্বর ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়ায়। কম্পনের মাত্রা ৫.৬। কমপক্ষে ৪৬ জনের মৃত্যু সেইসঙ্গে ৭০০ জন আহত ছিল। বহু ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছিল সেই ভূমিকম্পে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। জাভার মূল দ্বীপে অনুভূত হয়েছিল কম্পন।   

ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল ডিজাস্টার মিটিগেশন এজেন্সির বক্তব্য উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে,রিখটার স্কেলে তীব্র কম্পন ধরা পড়েছে।

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News