ফেব্রুয়ারিতেই চালু কোচবিহার থেকে কলকাতা বিমান

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

মধ্যবিত্ত বিমানযাত্রীদের জন্য় সুখবর। এবার অত্যন্ত সস্তায় অল্প সময়ে কোচবিহার থেকে কলকাতায় আকাশপথে পৌঁছে যেতে পারবেন যাত্রীরা। শুক্রবার এ কথাই জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। রাজ আমলে কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে বিমান ওঠানামা করত। পরবর্তীতে সেই বিমান চলাচল অনিয়মিত হয়ে পড়ে। এরপর একাধিকবার বিমান চালানো শুরু হয়েই দিন কয়েক পরেই তা বন্ধ হয়ে যায়। নিশীথ প্রামাণিক জানান, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিমান চলাচল শুরু হবে। পরিষেবার দায়িত্বে থাকবে আহমেদাবাদের বিমান সংস্থা ইন্ডিয়া ওয়ান। মোদি সরকারের উড়ান স্কিমের আওতায় মিলবে এই বিমান পরিষেবা। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, কোচবিহার থেকে কলকাতা ও জামশেদপুর হয়ে ভুবনেশ্বর পর্যন্ত যাতায়াত করবে বিমানটি। প্রতিদিনই নির্দিষ্ট সময়ে মিলবে পরিষেবা। প্রথম দু-তিন মাস ৯৯৯ টাকার বিনিময়েই আকাশপথে সফর করতে পারবেন যাত্রীরা। দীর্ঘদিন যাতে এই পরিষেবা চালিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সকলকে এর পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত এক্ষেত্রে সমস্ত রকম সহযোগিতা করেছে বলেও জানান তিনি।

বর্তমানে কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে বড় বিমান চালানোর ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। একে কোচবিহার বিমানবন্দরের রানওয়ে ছোট। তাই বড় বিমান নামানো সম্ভব নয়। রাজ্য সরকারের কাছে জমি চাওয়া হবে। জমি পাওয়া গেলে রানওয়ে বাড়িয়ে বড় বিমান নামানোর পরবর্তী পরিকল্পনা নেওয়া হবে। অন্যদিকে নিয়মিত যাত্রী পেতে হবে। তবে যেহেতু ভর্তুকিতে চলবে তাই কম ভাড়ার কলকাতাগামী যাত্রী পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী সকলেই। এর আগে রাজ্যের তরফ থেকে কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে উড়ান চালু না করার বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের উপরই দায় চাপিয়েছিলে রাজ্য। এবার সেই বিতর্কে জল পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। নিশীথ প্রামাণিকও জন পরিষেবার ক্ষেত্রে রাজনীতিকে সরিয়ে রাখার কথাই বলেছেন। সূত্রের খবর, সব দিক ঠিক থাকলে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ফের আকাশপথে জুড়ছে কোচবিহার -কলকাতা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। এমনকী মাত্র ৯৯৯ টাকা বিমান ভাড়া রাখা হয়েছে। আপাতত ৯ আসনের বিমান চলাচল করবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক শুক্রবার বিমান বন্দরের নানা দিক খতিয়ে দেখেন।

Journalist Name : Sampriti Gole

Tags:

Related News