হাওড়া - NJP র পর, এবার বন্দে ভারত ছুটবে পুরী

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

ফের রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর। বাংলা পেতে পারে আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ির পর এবার পথচলা শুরু করতে পারে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আগামী মাস অর্থাত্‍ ফেব্রুয়ারিতেই শুরু হতে পারে রাজ্যের সেমি হাইস্পিড এক্সপ্রেসের পথচলা। তবে পরের মাসের ঠিক কবে চালু হবে এবং ভাড়া কত হবে, তা এখনও জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পথচলা শুরু করে। মাত্র ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে বিশ্বমানের ট্রেনগুলিকে টক্কর দিতে প্রস্তুত বন্দে ভারত। ট্রেনটির পুরোটাই এসি চেয়ার কার। ট্রেনের প্রতিটি আসন ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরবে অর্থাত্‍ কোচে রয়েছে রিভলবিং চেয়ার। থাকছে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও। উত্তরবঙ্গ যেমন বহু মানুষের প্রিয় পর্যটন স্থল, তেমনই পুরী। জগন্নাথদেবের প্রতি বাংলার মানুষের টান চিরন্তন। কেউ কেউ তো দু দিনের ছুটিতেও পুরী ঘুরতে যান। সেক্ষেত্রে যাত্রার সময়টা কম লাগলে তো কথাই নেই। এই রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

উত্তরবঙ্গ যেমন বহু মানুষের প্রিয় পর্যটন স্থল, তেমনই পুরী। নীলাচলের প্রতি বাংলার মানুষের টান চিরন্তন। কেউ কেউ তো দু দিনের ছুটিতেও পুরী ঘুরতে যান। সেক্ষেত্রে যাত্রার সময়টা কম লাগলে তো কথাই নেই। অনেকেই এই রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করলে উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সেমি হাইস্পিড ট্রেন বন্দে ভারত। গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার। তবে এখন চলে ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে। রেল সূত্রে খবর, ডানকুনি থেকে খানা জংশনের মধ্যে বন্দে ভারতের সর্বাধিক গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। তার পর রেললাইনের স্বাস্থ্যের কারণেই গতি আর বাড়ানো যায় না। দেশের বিভিন্ন মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেন চালাতে ব্যবহার করা হয় আলাদা ইঞ্জিন কোচ। কিন্তু বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে বুলেট বা মেট্রো ট্রেনের মতো রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড ইঞ্জিন। আলাদা করে ইঞ্জিন কোচ জোড়ার দরকার নেই। সম্পূর্ণ শীততার নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনে কোচের সংখ্যা ১৬। ট্রেনের দরজা স্বয়ংক্রিয়। দরজা তখনই খুলবে যখন ট্রেনটি পুরোপুরি থামবে। এবং যখন দরজা পুরোপুরি বন্ধ হবে তখনই ট্রেনটি চলতে শুরু করে। প্রতি কোচে আছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। রয়েছে বায়ো-ভ্যাকুয়াম টয়লেট। ভারতীয় এবং পাশ্চাত্য দুই ধরনের ব্যবস্থা। জিপিএস-এর সাহায্যে কামরার স্ক্রিনে দেখা যায় কত গতিবেগে ছুটছে ট্রেন। জানা যাবে, পরের স্টেশনের নাম।

Journalist Name : Sampriti Gole

Tags:

Related News