বৃহস্পতিবার অর্থাৎ গতকাল ছিল ত্রিপুরা মেঘালয় ও নাগাল্যান্ড এই তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফল।
জানা যাচ্ছে এই তিনটি রাজ্যেই ৬০ টি করে আসন, নাগাল্যান্ডে আকুলুটো কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কাজহেটো কিনিনি, ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর সেখানেও আসন ছিল সাতটি, যেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দায় তিনি ৫৯ টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।
দ্বিতীয় রাজ্য ছিল মেঘালয়। সেখানেও নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেখানকার এক প্রার্থী মারা যাওয়ায় সেখানে নির্বাচন হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে
লড়াই চলেছে বিজেপি কংগ্রেস ও বাম দল সহ বিভিন্ন দলের মধ্যে। যে লড়াইয়ের শামিল ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসও।
আর এই লড়াইয়ের যেকোনো শিবিরের জয় পরাজয় যাই হোক না কেন সেই বার্তা চলে যাবে জাতীয় পর্যায়ে।
তবে ত্রিপুরার ফলাফল নিয়ে সেখানকার মানুষের বাড়তি আগ্রহ রয়েছে,
কারণ সেখানে একবার ২০১৮ সালের ভোটে বামফ্রন্টকে পিছনে ফেলে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি এমনটাই জানা যাচ্ছে।
আর এবার সেই গেরুয়া শিবির অর্থাৎ বিজেপি সরকার সেই ক্ষমতা আদৌ ধরে রাখতে পারবে কিনা সেটাই দেখার জন্য অপেক্ষা এখানকার মানুষের।
আর গতবার, ত্রিপুরায় বিজেপি আদিবাসী ভোটের সমর্থন পেয়ে বিজেপি এবং ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (আইপিএফটি) বাম দলগুলিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে পেরেছিল।
কিন্তু এ বার ত্রিপুরা রাজপরিবারের এক সদস্য প্রদ্যোত দেববর্মা,"তিপ্রা মথা" নামে একটি নতুন দল গঠন করেছেন।
যে দলটি এবার বিজেপির জয়ের মুখে একরকম বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলেই অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের তরফে।
তবে মেঘলা এবং নাগাল্যান্ডে এতদিন বিজেপি সরকারি রাজ করতো। আর এ বার এই দুই রাজ্যে আগামী ৫ বছরের জন্য কোন দল ক্ষমতায় আসে, তাই-ই এখন দেখার প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে সেখানে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, আর বাকি দুই রাজ্যে অর্থাৎ মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে ভোট অনুষ্ঠিত হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। আর মুড ফেরত সমীক্ষা গুলির দাবি এবার বিজেপি অথবা এন ডি এ সরকার গঠন হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
তবে মেঘালয় সম্পর্কিত পরিসংখ্যান এখনও স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে।
তবে এ বিষয়ে বুথ ফেরত সমীক্ষা গুলি দাবি করেছে এখানে যেহেতু স্পষ্ট কোন কিছু বলা যাচ্ছে না, তাই তারা মনে করছেন এখানে একটি ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেই অনুমান তাদের।