দীর্ঘ ৩৫ বছরের বিচ্ছেদ কাটিয়ে ফের রণধীরের কাছাকাছি ববিতা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

এ ভাবেও আবার কাছাকাছি ফিরে আসা যায়। দেখিয়ে দিয়েছেন রণধীর ও ববিতা কপূর। দুরন্ত প্রেমের পরে বিয়ে। তারপর সম্পর্কের টানাপড়েনে বিচ্ছেদ। ৩৫ বছর আলাদা থাকার পরে আবার কাছাকাছি এসেছেন তাঁরা। বিবাহিত জীবনের ওঠাপড়া সত্ত্বেও মুছে যায়নি দু’জনের বন্ধন। সম্প্রতি রণধীরের বান্দ্রার নতুন বাড়িতে ব্যাগপত্তর গুছিয়ে থাকতে চলে গিয়েছেন ববিতা। আর এই গোটা ঘটনায় খুশি তাঁদের দুই মেয়ে। অন্তত শেষ বয়সে এসে একে-অপরের খেয়াল তো রাখতে পারবেন। রাজ ও কৃষ্ণা কপূরের বড় ছেলে রণধীরের জন্ম ১৯৪৭-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি। পরিবারের ধারা মেনে তিনিও অভিনয়ে আসেন। পর্দায় আত্মপ্রকাশ শিশুশিল্পী হিসেবে, ১৯৫৫ সালে। প্রথম ছবি ‘শ্রী ৪২০’। এরপর ‘দো উস্তাদ’ ছবিতেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল। রণধীরের স্ত্রী ববিতা নিজেও ছিলেন ফিল্মের সঙ্গে জড়িত পরিবারের মেয়ে। হিন্দু-সিন্ধি-ব্রিটিশ সংস্কৃতির মিশ্র পরিবেশে বড় হন তিনি। ববিতার বাবা হরি শিবদাসানি নিজেও ছিলেন একজন অভিনেতা। তাঁর মা বারবারা শিবদাসানি ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। অভিনেত্রী সাধনা শিবদাসানি ছিলেন তাঁদের আত্মীয়।

রণধীর-ববিতা আলাপ ১৯৬৯ সালে ‘সঙ্গম’ ছবির সেটে। তারপর দু’বছর গোপনে সাক্ষাৎ চলতে থাকে তাঁদের। ১৯৭১ সালে রণধীরের অনুরোধেই ববিতাকে ‘কাল আজ অউর কাল’ ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় নেন রাজ কপূর। কিন্তু কপূর পরিবার বেঁকে বসল রণধীর-ববিতার সম্পর্কে। ছেলের অনড় মনোভাবে শেষ অবধি রাজ কপূর সম্মতি দেন। কিন্তু শর্ত মেনে বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে দিতে হয় ববিতাকে। কারণ কপূর পরিবারে বধূদের অভিনয় করার রীতি ছিল না। একমাত্র এই নিয়মের ব্যতিক্রম ছিলেন শাম্মি কপূরের প্রথম স্ত্রী গীতা বালি। ১৯৭১-এর ৬ নভেম্বর বিয়ে করেন রণধীর-ববিতা। তাঁদের দাম্পত্য মসৃণ ছিল বিয়ের পরে কয়েক বছর। এমনকি, অভিনয় ছেড়ে দেওয়া নিয়েও ববিতার মনে কোনও ক্ষোভ ছিল না। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির প্রত্যেকের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক বজায় ছিল। ১৯৭৪ সালে তাঁদের বড় মেয়ে করিশ্মা এবং ১৯৮০ সালে ছোট মেয়ে করিনার জন্ম। তখনও অবধি সমস্যা ছিল না। সম্পর্কের সুর কাটল আশির দশক এগোতেই। ততদিনে একের পর এক ছবি ব্যর্থ। রণধীর কপূরের নাম হয়ে গিয়েছে ‘ফ্লপ তারকা’। অবসাদগ্রস্ত রণধীর ধীরে ধীরে সুরাসক্ত হয়ে পড়েন। তার সঙ্গে যোগ হয় আর্থিক অসচ্ছলতা। ১৯৮৮ সালে মেয়েদের নিয়ে আলাদা হয়ে যান ববিতা। তিনি নিজের ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে বলেন স্বামী রণধীরকে। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ছেড়ে রণধীর চলে যান বাবা-মায়ের কাছে। বিচ্ছেদের জন্য ভেঙে না পড়ে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেন ববিতা। তারপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ৩৫ বছর। একে-অপরের সঙ্গে ডিভোর্স নেননি কেউই। রণধীরের যে কোনও সমস্যায় পাশেও থেকেছেন ববিতা। কাপুরদের বাড়ির বউ হিসেবে সব দায়িত্বও পালন করেছেন। তবে একসঙ্গে থাকেননি এতদিন। বান্দ্রার বাড়িতে গত সাত মাস ধরেই একসঙ্গে থাকছেন ববিতা-রণধীর। আর মা-বাবার এই সিদ্ধান্তে খুশি করিনা আর করিশ্মাও।

Journalist Name : Sampriti Gole

Tags:

Related News