সঠিক চিকিৎসাতেই সেরে যাবে স্ট্রোক!

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

জীবন বদলে দিতে পারে স্ট্রোক বা পক্ষাঘাত। কারণ এর দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক ও মানসিক প্রভাব থেকেই যায়। বর্তমানে তা জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগ হিসেবেও গণ্য হচ্ছে। এক এক ধরনের স্ট্রোকের আলাদা আলাদা কারণ এবং উপসর্গ থাকে। যা নীরব ঘাতক হিসেবেই উপস্থিত হয়। আবার তা ভবিষ্যতের সেরিব্রোভাস্কুলার ইভেন্টের সতর্কীকরণের প্রতীকও হতে পারে।

    তাই উপসর্গ অস্থায়ী হলেও চিকিত্‍সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আবার স্ট্রোকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে রিহ্যাবিলিটেশন জরুরি। এমনটাই বলছেন প্রো ফিজিও-র প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ডা. প্রমোদ রবীন্দ্র।

     স্ট্রোকের জেরে কথা বলতে কিংবা বুঝতে সমস্যা দেখা দেবে। সেই সঙ্গে বিভ্রান্তি তো থাকেই। তীব্র মাথা ব্যথা, আচমকা মাথা ঘোরানো, কথা জড়িয়ে আসা, ঝাপসা দৃষ্টিশক্তি, আচমকা অবশভাব, দুর্বলতা অথবা মুখ-হাত-পায়ে প্যারালাইসিস প্রভৃতি। কখনও কখনও দেহের এক পাশে পক্ষাঘাত হতে পারে। তবে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে রিহ্যাবিলিটেশন সায়েন্স উন্নত হয়েছে। যার ফলে রোগ নির্ণয়ে সুবিধা হচ্ছে আর রোগীরাও দ্রুত সেরে ওঠার সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া রয়েছে কিছু কনভেনশনাল থেরাপি, যা স্নায়বিক অক্ষমতাকে হ্রাস করে এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।

    স্ট্রোক নিয়ন্ত্রণের জন্য থাকে একটি বিশেষজ্ঞ দল। যেখানে থাকবেন নিউরো ফিজিশিয়ান, নিউরো সার্জন, নিউরো ফিজিওথেরাপিস্ট, অক্যুপেশনাল থেরাপিস্ট, স্পিচ থেরাপিস্ট। এখানেই শেষ নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার জন্য থাকেন সাইকিয়াট্রিস্ট ও সাইকোলজিস্টদের নিয়ে গড়া মেন্টাল হেলথ টিমও। এছাড়াও রোগীর চিকিত্‍সার ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদেরাও বড়সড় ভূমিকা পালন করে থাকেন। স্ট্রোক থেকে আরোগ্য লাভের ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার যেন আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে।

Journalist Name : Ashapurna Das Adhikary

Related News