দই এর ভালো ও আছে আবার খারাপ আছে ! বেশি দই খেলে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা

banner

#Pravati Sangbad digital Desk:

দই খাওয়া স্বাস্থ্যকর হলেও এর রয়েছে বহু অপকারিতা। প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩রা মে : গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে আমরা অনেক কিছু করি। এই সময় পেট ঠাণ্ডা রাখতে আমরা নানাভাবে দই খেয়ে থাকি। দই খাওয়া খুবই স্বাস্থ্য উপকারী। দই-এ প্রোবায়োটিক রয়েছে যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।

     অন্যদিকে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, চিনি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-এর মতো পুষ্টি উপাদান দইয়ে পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক আশ্চর্যজনক উপকার করে। কিন্তু অতিরিক্ত দই খেলে ক্ষতি হতে পারে। আসুন তাহলে জেনে নেই দইয়ের অপকারিতা-

ল্যাকটোজ :

     দইয়ে ল্যাকটোজ পাওয়া যায়। আর যাদের ল্যাকটোজের সমস্যা রয়েছে, তাদের দই খেলে সমস্যা হতে পারে। ল্যাকটোজ হল এক ধরনের দুধের চিনি, যা শরীরে উপস্থিত ল্যাকটোজ এনজাইমের সাহায্যে পরিপাক হয়। শরীরে ল্যাকটোজ এনজাইমের ঘাটতি হলে ল্যাকটোজ সহজে হজম হয় না এবং শরীরে ফুলে যাওয়া ও গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যায়।

    ওজন বৃদ্ধি:

     অল্প পরিমাণে দই খান তবে তা ঠিক কিন্তু যদি এর ব্যবহার বাড়ান তবে এটি ওজনও বাড়াতে পারে, কারণ দইয়ে ফ্যাট এবং ক্যালোরি রয়েছে।


অ্যাসিডিটি:

   অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলেও দই খাওয়া উচিত্‍ নয়, বিশেষ করে রাতে দই খাবেন না।

আর্থ্রাইটিস:

  দই খাওয়া হাড়ের জন্য ভালো, তবে দইয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং অ্যাডভান্স গ্লাইকেশনের পরিমাণ পাওয়া যায়। এ কারণে হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। যদি আর্থ্রাইটিসের রোগী হয়ে থাকেন, তাহলে দই খেলে ব্যথা ও ফোলা বাড়তে পারে।এমনকি হাঁটুর ব্যথা বাড়তে পারে।

     কোষ্ঠকাঠিন্য:

     পরিপাকতন্ত্র দুর্বল হলে প্রতিদিন দই খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ হজম ঠিকমতো কাজ না করলে দই খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।

প্যানক্রিয়াটাইটিস :

  গুরুতর প্যানক্রিয়াটাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডাক্তাররা প্রোবায়োটিক না খাওয়ার পরামর্শ দেন কারণ এটি সমস্যাটিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।

Journalist Name : Ashapurna Das Adhikary

Related News