রাজস্থানে ভেঙে পড়লো ভারতীয় বিমান মেগ - ২১!

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

ভারতের রাজস্থানের হামুমানগড় জেলায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি মিগ-২১ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।সূত্রের খবর, পাইলট নিরাপদে রয়েছেন এবং উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বিমানটি সুরাটগড় থেকে উড্ডয়ন করেছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনী।

     উল্লেখ্য, এরআগে রাজস্থানের ভরতপুরে প্রশিক্ষণ মহড়ার সময় ভারতীয় বিমানবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান সুখোই এসইউ-৩০ ও একটি মিরাজ ২০০০ বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনার জেরে এক পাইলট নিহত হন।

   প্রসঙ্গত গত ৬০ বছর ধরে ঘটেছে চারশোর বেশি দুর্ঘটনা। দেড়শোর বেশি পাইলট হারিয়েছেন প্রাণ। বহুবার মাঝ আকাশে ভেঙেচুরে আগুন ধরে গেছে 'বুড়ো' মিগে। লাগাতার দুর্ঘটনা আর প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে থাকায় মিগ-২১ যুদ্ধবিমানকে 'উড়ন্ত কফিন' নামেও ডাকা হয়। বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান এখনও ব্যবহার করে মিগ-২১ যুদ্ধবিমান (MiG-21 Bison)।

    কিন্তু ভারত প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে। ভারতীয় বায়ুসেনার ঝুলিতে একাধিক আধুনিক যুদ্ধবিমান আছে। তাও কেন সোভিয়েত জমানার মিগ ফাইটার জেটেই এত ভরসা?রাজস্থানে আবারও দুর্ঘটনার কবলে মিগ-২১ বাইসন জেট। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাঝ আকাশেই ভেঙে পড়ে যুদ্ধবিমান। ইজেক্ট করে বেরিয়ে যান পাইলট। বিমান ভেঙে চারজন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে রাজস্থানের বারমেরে মিগ-২১ ভেঙে দু'জন পাইলটের মৃত্যু হয়েছিল। সমীক্ষা বলছে, গত ৬০ বছরে কম করেও চারশো বার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে মিগ যুদ্ধবিমান।

    ছ'দশক ধরে ভারতীয় বায়ুসেনার বিশ্বাসের পাত্র মিগসুখোই, সুখোই-৩০ এমকেআই, রাফাল থাকা সত্ত্বেও মিগ যুদ্ধবিমানের স্কোয়াড্রন সযত্নে লালন পালন করছে ভারতীয় বায়ুসেনা। যদিও মিগের পুরনো ভার্সনের অনেক বিমানই বাতিল হয়েছে। সোভিয়েত জমানার যুদ্ধবিমানের আধুনিকীকরণ করে নয়া ভার্সন এখন মিগ-২১ বাইসন জেট। ১৯৬২ সালে চিন যুদ্ধে বিপর্যয়ের পর ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আধুনিক যুদ্ধবিমানের খোঁজ শুরু করে। তখনই নজরে আসে মিগ-২১। কয়েক দফা পরীক্ষার পর ১৯৬৩-র শেষ পর্বে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসে সোভিয়েতে তৈরি যুদ্ধবিমানটির প্রথম পর্যায়ের সংস্করণ মিগ-২১ এফএল। সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে মোট ৮৭৪টি মিগ-২১ কিনেছিল ভারত। ১৯৬৩ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এই যুদ্ধবিমান। ১৯৮৫-তে মিগের এই বিশেষ মডেলটি বানানো বন্ধ করে দেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। ফলে মিগের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে শুরু হয় সমস্যা। ২০১২ সালে তত্‍কালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি বলেছিলেন, 'রাশিয়ার থেকে কেনা ৮৭২টি মিগ যুদ্ধবিমানের অর্ধেকই দুর্ঘটনায় নষ্ট হয়েছে। যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ায় মৃত্যু হয়েছে ১৭১ জন পাইলট ও ৩৯ জন সাধারণ মানুষের।' ২০১৯ সালের একটি আলোচনাসভায় মিগ-২১ দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের উদ্দেশে তত্‍কালীন বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া বলেছিলেন, ''এত পুরনো গাড়িও কেউ চালায় না।'

Journalist Name : Ashapurna Das Adhikary

Related News