অস্বস্তিকর গরমে একটু শান্তির বাহক হয়ে আসে এসি। এসির শীতল বাতাস গরমের সমস্ত অস্বস্তি কমিয়ে ফুরফুরে আমেজ তৈরি করে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডা এই বাতাসের সংস্পর্শে থাকলে ত্বকের কী দশা হয়, তা-ও সবার ভাবা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে হঠাৎ বা দীর্ঘ সময় ধরে যদি এসির ঠান্ডা বাতাসে থাকে তাহলে ত্বকের আর্দ্রতার উপর প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে ত্বকের আবরণের নিচের জল শুকিয়ে যায়। রূপবিশেষজ্ঞদের মতে এসির বাতাস খুবই শুকনো, শীতের বাতাস আমাদের ত্বকের উপর যেমন প্রভাব পড়ে তেমনটাই হয়।
সকালে অফিস যাওয়ার সময় এসি ক্যাব, দিনভর অফিসে ঠান্ডা ঘরে দিন কাটানো, আবার কোথাও যেতে আসতে সেই কুল ক্যাব আর বাড়ি ফিরে ফের ঠান্ডা ঘর — গরমের দিনে এই গোটা ব্যাপারটা যতই মনোরম হোক না কেন, আপনার ত্বকের উপর সেই প্রভাব কিন্তু মোটেও মনোরম হবে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঠান্ডা ঘরে থাকলে তার প্রভাব পড়বে কিন্তু ত্বকের উপরেও।তাই তো ত্বকের যত্নে যে ধরনের সমাধান নেওয়া হয়, এসিতে থাকলেও ঠিক তেমনই সমাধান নিতে হবে। আপনার জন্য রইল টিপস -
ত্বকের শুষ্কতা, বিবর্ণতা ও বলিরেখার মতো ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে এসি ঘরে জায়গায় একটানা নয় ঘণ্টার বেশি থাকা একেবারেই উচিত নয়। সাধারণ ফেসওয়াশের বদলে নিয়ে ব্যবহার করুন ফেনাহীন ক্লেনজার।
অফিসে ডেস্কের ড্রয়ারে ময়েশ্চারাইজ়ারের বোতল রেখে দিন। প্রতি দুই থেকে তিন ঘন্টা অন্তর গন্ধহীন ময়েশ্চারাইজার ভালো করে মেখে নিন। এসির হওয়ায় সংক্রামক ব্যধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেহেতু দীর্ঘ সময় এসিতে থাকার ফলে নাকের প্যাসেজ ড্রাই হয়ে যায়, তার ফলে মিউকাস মেমব্রেনে ইরিটেশন হতে পারে বা মিউকাস শুকিয়ে যেতে পারে । এর ফলে ভাইরাস সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে । ঘর বা অফিসের এসি এমনভাবে বানানো হয় যাতে শরীর ঠান্ডা হয় । কিন্তু রিসার্চ বলছে যে সব বড়িতে বা অফিসে এসি চলে তারা সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ঘরের আদ্রতা কম থাকার জন্য ত্বক রুক্ষ হয়ে যায় । দেখা দিতে পারে চুলকানির সমস্যাও। স্কিনের নিজস্ব অনাক্রমন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে গিয়ে মুখ তুলনামূলকভাবে বয়স্ক দেখায়। এসিগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা না হয়, তাহলে অ্যাজমা আর অ্যালার্জি হওয়ার প্রবণতা অনেকটা বেড়ে যায়। দীর্ঘসময় এসি ঘরে থাকলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়, এর ফলে চোখ কড়কড় করে, চোখ জ্বালাও করতে পারে ।