২-০ গোলে সহজ একটি ম্যাচে জয়লাভ করলো কেরালা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

গতকালের ম্যাচ টি কেরালার সাথে ওড়িশা এফসির, কালকের ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে কেরালা অত্যন্ত সুন্দরভাবে খেলে দু -গোলে এগিয়ে যায়, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ওড়িশা এফসি ভালো খেললেও ভাগ্যদোষে তারা কোনো গোল পায়নি। কালকের ম্যাচটি জিতে যাওয়ার জন্য কেরালা ব্লাস্টার্স আইএসএল এর লিগ টেবিলে এক নম্বর স্থানে চলে গেল ও ওড়িশা এফসি লীগ টেবিলের ৮ স্থানেই রইলো।
আজকের ম্যাচে ওড়িশা এফসির কোচ রামিরেস তার দল টিকে সাজিয়েছিলেন ৪-৩-৩ ছকে, আক্রমণে ছিলেন এটিকের প্রাক্তন খেলোয়াড় জাভি, সাথে ছিলেন পরিবর্তিত হয়ে আসা জনাথাস। মিডফিল্ডে ছিলেন আড়িদায়, ইসাক, লিরিদন, ডিফেন্সে ছিলেন ভিক্টর মঙ্গিল, অ্যান্থনি, পন্বর ইত্যাদিরা প্রতি বছরের মতো এবছরও ওড়িশা এফসি জাইন্ট কিলার হিসেবেই পরিচিত হলেও আজকের গল্পটা অন্যদিনের থেকে একটু আলাদা। কেরালা ব্লাস্টার এর কোচ ইভান ভাকমানভিচ তার দলকে ৪-৪-২ ছকে সাজিয়েছিল, তাদের ডিফেন্সে ছিল হরমোনযাত খাবর, নিশু কুমার, স্টিপোভিচ, হরমিপাম, মিডফিল্ডে ছিল সাহাল সামাদ, জ্যাকসন সিং, আদ্রিয়ান লুনা ও আক্রমণে ছিল, ভাস্কোয়াজ ও পেরেয়েরা ডিয়াজ।
এবছরের কেরালার দলটি অত্যন্ত শক্তিশালী ইতিমধ্যেই এই দলটি প্লায়াফস এর দৌড়ে লীগ টেবিলে ১ এ চলে এসেছে। প্রথমার্ধের খেলা শুরু হওয়ার সাথে সাথে কেরালা ব্লাস্টার্স একের পর এক আক্রমণ করে উড়িষ্যা এফসি ডিফেন্স কে প্রতিহত করতে থাকে, কেরালা ব্লাস্টার্স গতকালের ম্যাচে ডান দিক এবং বাম দিক বরাবর আক্রমণ করে এবং অনবরত প্রেসিং করতে থাকে, ৫ মিনিট সময়সীমা পেরোতে না পেরোতেই কেরালা প্রথম আক্রমণ করে, বাম দিক থেকে আক্রমণ করার পর লুনা তার স্কিল এর মাধ্যমে ওড়িশার পেনাল্টি বক্সের মধ্যে চলে যান এবং সামাদকে একটি পাস দেন, কিন্তু সামাদ সেই পাস তাকে গোলে পরিবর্তিত করতে পারেননি।
২৫ মিনিটের মাথায় ওড়িশা প্রতিআক্রমণ করে কেরালা কে, ওড়িশার ইসাক তার দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যায় কেরালার পেনাল্টি বক্সের দিকে তারপর সেখান থেকে জাভি হার্নান্দেজ কে একটি থ্রু পাস দেন, জাভি কেরালার ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট ও নেন কিন্তু কেরালার গোলকিপার গিল তা প্রতিহত করে দেয়। ২৯ মিনিটে প্রথম গোল পায় কেরালা, কাউন্টার অ্যাটাকের এর সাহায্যে কেরালার লুনা ওড়িশার পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে বাম দিক দিয়ে আসা নিশু কুমারকে পাস দেন, এবং নিশু কুমার পেনাল্টি বক্সের মধ্যে থেকে ওড়িশার গোলপোস্টের দিকে শট নেন এবং গোল পেয়ে যায় কেরালা। নিশু কুমার অনেকদিন পর কেরালা দলে প্রথম থেকে খেলার সুযোগ পান, ও সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে।

৩৮ মিনিটে কেরালার আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ভাস্কোয়াজ আবারো ওড়িশার পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যান সেখান থেকে বলটিতে মাইনাস করে সামাদের পায়ে এগিয়ে দেন, কিন্তু এইবার সামাদ গোল দিতে ব্যার্থ হন, ওড়িশার ডিফেন্ডার একটি ট্যাকেলের মাধ্যমে বলটিকে ক্লিয়ার করে দেন। সেখান থেকে কেরালা একটি কর্নার পায়, কর্নার থেকেই কেরালা ব্লাস্টার্স পেয়ে যায় তাদের দ্বিতীয় গোল  থেকে হরমনজোত খাবরার হেড থেকে। এই ভাবেই প্রথমার্ধে দু গোলে এগিয়ে যায় কেরালা ব্লাস্টার্স এবং প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হয়, দ্বিতীয়ার্ধে ওড়িশার কোচ রামিরেস তাদের দলের খেলার দিক পরিবর্তন করলেও দিনশেষে গতকালের ম্যাচে জিততে পারেনি, তারা কেরালার ডিফেন্সে একের পর এক হানা দিয়ে গেলেও কেরালার ডিফেন্ডার এবং গোলকিপার প্রত্যেকবার আক্রমণ গুলিকে প্রতিহত করে দেয়। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোন দলে গোল পায়নি খেলার শেষ স্কোর হয় ২-০ কেরালা জিতে যায়।

Journalist Name : Tamojoy Shrimany

Related News