#Pravati Sangbad Digital Desk:
বাড়িতে উদ্ভিদ রোপণ করতে আমরা কে না ভালোবাসি। কিন্তু এই উদ্ভিদ রোপণ করলেই তো হল না, তার যত্নও নিতে হয় আর তার জন্য খরচও হয়ে যায় অনেক। তাই আজ কীভাবে গৃহমধ্যস্থ উদ্ভিদদের সেই গৃহের মধ্যেই থাকা জিনিস দিয়ে ঘরোয়া উপায় প্রাকৃতিকভাবে কীটনাশক তৈরি করা যায়, তা জানবো। এতে খরচাও কম হবে আর গৃহমধ্যস্থ উদ্ভিদদের যত্নও নেওয়া যাবে।
i) ভাত – আমাদের নৈশভোজনের পর অনেক ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ভাত রয়ে যায়। একটা বোতলে এই ভাতের সাথে ১লি. জল মিশিয়ে ১ সপ্তাহের জন্য বোতলটির মুখ আটকে রাখতে হবে এবং মাঝে মাঝে মুখটি খুলে গ্যাস নিঃসরণ করতে হবে নয়তো দুর্গন্ধ ছড়াবে। ১ সপ্তাহ পর ছাকনির সাহায্যে ওই বোতলে রাখা মিশ্রণটিকে ছেঁকে ১টা স্প্রে বোতলে ঢেলে নিয়ে গাছে স্প্রে করা যাবে। তৈরি “ভাতের দ্বারা তৈরি কীটনাশক’’। এতে ছোটো ছোটো কীটপতঙ্গ গাছ থেকে দূরে থাকবে।
ii) কলার খোসা – কলাগাছের কোন অংশই ফেলা যায় না, হোক সেটা কান্ড অথবা পাতা। তেমনি কলার খোসাও ফেলা যায় না। কলা খাওয়ার পর খোসাগুলিকে ১টা পাত্রে ১লি. জলে তিনদিন ভিজিয়ে রাখতে হবে। তিনদিন পর মিশ্রণের জলটা আলাদা করে গাছের কান্ডে দিয়ে দিতে হবে। এটি হল “কলার খোসা থেকে তৈরি সার’’।
iii) নিম ও রসুন – কিছু নিমপাতা ও ১টা গোটা রসুন বাটা ১লি জলে মিশিয়ে ৩-৪ ঘণ্টা পর আলাদা পাত্রে ছেঁকে গাছের কান্ড, পাতায় স্প্রে করতে হবে।
iv) বেকিংসোডা – ১লি জলে ২ ছোটো চামচ বেকিংসোডা, ১ ছোটো চামচ নিম তেল আর ১০ ফোঁটা লিকুইড সোপ দিয়ে ভালো মিশিয়ে নিয়ে গাছে কীটনাশক হিসেবে স্প্রে করা যাবে।
v) ইনো – ১ প্যাকেট ইনোর সাথে ১ বড় চামচ সাবান গুঁড়ো (ডিটারজেন্ট পাউডার), ১চামচ সরষের তেল ও ১লি জল মিশিয়ে গাছে স্প্রে করা যায়।
vi) ব্যবহারিক চা পাতা - চা খাওয়ার পর যে অবশিষ্ট চা পাতা রয়ে যায়, সেটা ফেলে দেওয়ার পরিবর্তে শুকিয়ে নিয়ে নতুন ১লি জলে মিশিয়ে ১দিনের জন্য রেখে দিতে হবে। ১দিন পর সেই জল ছেঁকে নিয়ে সার হিসেবে গাছের গোঁড়ায় গোঁড়ায় দিয়ে দিতে হবে।
vii) পেঁয়াজের খোসা – ১লি জলে পেঁয়াজের খোসা মিশিয়ে, মিশ্রণের জলটিকে গাছে স্প্রে করা যেতে পারে।
Journalist Name : Swarnalye Paul