আগামী ২৯ এপ্রিল দিঘার নতুন জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হতে চলেছে, যা শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পর্যটন মানচিত্রই বদলে দেবে না, বরং আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় পর্যটনের কেন্দ্র হিসেবেও তা বড় এক মাইলফলক হয়ে দাঁড়াবে। রাজ্য সরকারের ২০০ কোটি টাকার সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং ধর্মীয় পর্যটন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এই মন্দিরটি ২১৩ ফুট উচ্চতার সঙ্গে শ্রীক্ষেত্রের আদলে তৈরি করা হয়েছে।
বছরে দুবার সিবিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষা
উলেখ্য, মন্দির উদ্বোধনের পর হাজার হাজার ভক্ত ও পর্যটকের সমাগম ঘটবে, এমন আশঙ্কা থেকেই প্রশাসন আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার জন্য জগন্নাথ ধাম সংলগ্ন এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পুলিশ পোস্ট তৈরি এবং মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হবে। এর পাশাপাশি, সাগরতীরের সৌন্দর্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য পুরোনো জগন্নাথ মন্দির এলাকার বালিয়াড়ি সংস্কার করা হবে এবং পার্কিং জোন তৈরি করা হবে। মন্দির উদ্বোধনের জন্য বিশেষভাবে প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিপুল ভিড়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি রাখা হবে এবং পুলিশের মোবাইল প্যাট্রল টিমও থাকবে।
প্রসঙ্গত, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধুসন্ত এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এতে অংশগ্রহণ করবেন। উদ্বোধনের পর থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য মন্দিরের দরজা খোলা হবে, এবং এর পরবর্তীতে প্রায় ৩০ এপ্রিল থেকে পর্যটকরা শ্রীজগন্নাথ মন্দির দর্শন করতে পারবেন। প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন উন্নয়ন কাজও শেষ হতে চলেছে। এর মধ্যে দুটি সমুদ্রঘাট নির্মাণ এবং মন্দির সংলগ্ন পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন বিশেষ উল্লেখযোগ্য। দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন পূর্বে প্রশাসন, পুলিশ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য কঠোর নজরদারি চলছে। এর মাধ্যমে, দিঘা শুধু পর্যটকদের কাছে নয়, জগন্নাথ ভক্তদের কাছে একটি আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হবে। এখনই মন্দিরের উদ্বোধনের অপেক্ষা, যাতে শ্রীজগন্নাথের দর্শন ভক্তদের সাথে পর্যটকদের কাছে একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে।