গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠক করতে এসেছিলেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবের দূত কিরণময় নন্দ, এ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। মঙ্গলবার বৈঠকের পরেই গোয়ার বিধানসভা ভোটের প্রথম দফার প্রার্থীর তালিকা প্রকশ করল ঘাসফুল শিবির। আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি গোয়াই বিধানসভা নির্বাচন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বারবার গোয়া ছুটে গেছেন এই রাজ্যের তৃণমূলের মন্ত্রী থেকে সাংসদদের অনেকেই। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী শক্তি একত্রিত করাই এখন সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির প্রধান লক্ষ্য। ২০২১ সালে এ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে দিল্লি থেকে বারবার ছুটে আসেছেন হেভিওয়েট নেতারা, কিন্তু তাতেও কার্যত বিশেষ কিছু ফল মেলেনি, বরং বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল সরকার।
দেশের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এখন বিজেপি বিরোধী মূল মুখ বলে দেখতে চাইছেন সকলে। এদিন প্রথম দফার ভোটের মোট ১১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে শাসক শিবির। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন মহুয়া মৈত্র। ১১ জনের মধ্যে রয়েছেন গোয়ার প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো এবং চার্চিল আলেমাও। এছাড়া রয়েছেন জগদীশ ভবে, সামিল ভলভাইকার, গিলবার্ট মারিয়ানো, সন্দীপ অর্জুন ভজরকর, জর্জ ফার্নানডেজ গনপৎ গাওকর প্রমুখ। এদিন সন্ধ্যায় গোয়ার তৃণমূল কমিটিরও ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সামনেই তার গোয়া সফর এদিন তার জন্য একাধিক বৈঠকও করেন তিনি। শুধুমাত্র প্রার্থী নয় গোয়াই রাজনৈতিক রং প্রতিষ্ঠা করতে চাই তৃণমূল শিবির, সেই কারনেই গঠিত হয় গোয়া রাজ্য কমিটি।
কিরন কন্দল্করকে গোয়া রাজ্য কমিটির সভাপতিও করা হয়। এদিন বৈঠকে গোয়ার তৃণমূল মহিলা কমিটিও প্রতিষ্ঠা করা হয়। গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে মোট ২৮টি আসনে লড়বে বলে জানা গেছে। এদিন গোয়া তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদের জন্য ১২ জনকে বেঁছে নেওয়া হয়, সম্পাদক পদের জন্য মনোনীত হয়েছেন ২৯ জন, এছাড়া ৪০ জন ব্লক সভাপতির নামও প্রকাশ করা হয় এদিন বৈঠকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে গোটা দেশে সবুজ ঝর তুলতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। এদিনের বৈঠকে গোয়া তৃণমূলের যুব সভাপতি পদে জয়েশ শেঠগাঁওকরকে নির্বাচন করা হয়েছে।