সমুদ্রের নীচে আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছিলো, আর তার জেরেই গত ১৫ই জানুয়ারি শনিবার বিকেল ৫ তার পরে টোঙ্গাতে ধ্বংসলীলা চালাই সুনামি। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের নীচে সুপ্ত হুঙ্গা টোঙ্গা- হুঙ্গা হাপাই আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই সুনামির জন্য প্রায় ৮০ হাজার মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশানাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। এই পুরো ঘটনার বিবৃতি দিয়ে সরকার জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে, যার মধ্যে দুই জন স্থানীয় এবং একজন ব্রিটিশ নাগরিক। সুনামির সময় কেঁপে ওঠে গোটা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। সুত্র মারফৎ জানা গিয়েছে সুনামির ঠিক দুই দিন আগে অর্থাৎ ১৩ই জানুয়ারি আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হতে শুরু করেছিলো।
সুনামির তীব্রতা এতটাই ছিল যে, টোঙ্গার রাজধানী নুকুয়ালোফা পুরোপুরি ছায়ে ঢেকে গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে রাজধানী নুকুয়ালোফার দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। প্রায় ৫০ ফুট উঁচু ঢেউ আছড়ে পরে টোঙ্গাতে। চারিদিকে নাশকতার ছাপ স্পষ্ট। লণ্ডভণ্ড চারিদিক, গোটা এলাকাটা যেন এক ঝটকাই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র দুটি বাড়ি রেহায় পেয়েছে সুনামির হাত থেকে। সুনামির জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান দেখতে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া হেলিকপ্টার পাথিয়েছে সেখানে।