#Pravati Sangbad Digital Desk:
ভারতের বৃহত্তর কলকাতার প্রধান চারটি রেলওয়ে স্টেশনের একটি হল শালিমার রেলওয়ে স্টেশন। বাকি তিনটি হল কলকাতায় শিয়ালদহ স্টেশন, কলকাতা স্টেশন এবং হাওড়া স্টেশন। শালিমার স্টেশনটি হাওড়ার শালিমার অঞ্চলে অবস্থিত। এটি হাওড়ার শিবপুর এলাকায় অবস্থিত। এটি কলকাতা এলাকার পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, ভালো-রক্ষণাবেক্ষণযুক্ত এবং কম ব্যস্ত রেলওয়ে টার্মিনাল।
বাংলা,ঝারখণ্ড এবং ওড়িশা মিলে বিস্তৃত দক্ষিন-পুর্ব রেলে বাংলার খাতে উন্নয়নমূলক কাজে বরাদ্দ কিছুটা বাড়ল। বৃহস্পতিবার সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার অর্চনা যোশী জানিয়েছেন, সাঁতরাগাছি এবং শালিমার এই দুটি স্টেশনের পরিকাঠামোগত উন্নতিতে ২০২২-২৩ এ বরাদ্দ বেড়েছে প্রায় ১৫০কোটি টাকা। এ ছাড়াও সাঁতরাগাছি-সাকরাইল লিঙ্ক লাইন তৈরির কাজে যাতে পুর্নগতিতে শুরু করা যায়। সেজন্য ৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
২০২০ সালে কাজ শুরু হয়ে যাওয়ার পথে থমকে যায় শালিমার স্টেশনেরর আধুনিকীকরণের কাজ। অবশেষে সেই কাজে ফের গতি আসতে চলেছে বলে খবর রেল সূত্রে। বাজেটে রেলের পিঙ্ক বুক অনুযায়ী এই প্রকল্পের জন্য হয়েছে বরাদ্দ অর্থ। ফলে কাজে ফের গতি আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
শালিমার স্টেশনে কালেভদ্রে দু-একটা ট্রেন ছাড়ত। সেই শালিমার স্টেশনের চেহারা এবার বদলে যাচ্ছে। এখানে তৈরি হচ্ছে তিনতলা স্টেশন বিল্ডিং। বিমানবন্দরে যেমন ধরনের পরিকাঠামো থাকে তেমনি থাকবে শালিমার স্টেশনে। এই স্টেশনের সবচেয়ে বড় সুবিধা ভৌগোলিক অবস্থান। গঙ্গার পাড়ে অবস্থিত হওয়ায় লঞ্চ করে যাত্রীরা স্টেশনে পৌছতে পারবেন আর এর জন্য তৈরি হচ্ছে জেটি। জেটির শেষ প্রান্তে তৈরি হচ্ছে এন্ট্রি পয়েন্ট। সাবওয়ের মধ্যে থাকবে এসকালেটর, যাতে করে যাত্রীরা সোজা ঢুকে পড়তে পারবেন প্ল্যাটফর্মে। প্ল্যাটফর্মে গা ঘেঁষে গড়ে উঠছে তিনতলা ঝাঁ চকচকে স্টেশন বিল্ডিং। তারমধ্যে টিকিট কাউন্টার-রেস্তোঁরা, যাত্রীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা সবই থাকছে। যাত্রীরা যাতে সহজেই শহরে ঢুকতে পারেন তার জন্য পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করছে রেল। লেভেল ক্রসিংয়ের ওপর তৈরি হচ্ছে রেলওয়ে ওভারব্রিজও, যা ধরে দ্রুত পৌছে যাওয়া যাবে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে। যাত্রী পরিষেবার পাশাপাশি রেল ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজও হবে এখানে। তার জন্য অফিস বিল্ডিংয়ের গা ঘেঁষে থাকছে পিট সাইটিং। জোরকদমে কাজ শুরু হয়েও, তা থমকে যায়। অনেকেই বলছেন অর্থের অভাবে সেই কাজে ভাটা এসেছিল। ফের বাজেটে অর্থ বরাদ্দ হওয়ায় সেই কাজে গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। রেল সূত্রে খবর, আগামী দু'বছরের মধ্যে বদলে যাবে শালিমার স্টেশন।
Journalist Name : Aditi Sarker