বাস্তুহারা মানুষেরা পেল সরকারি দলিল

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে আর একটি প্রতিশ্রুতি রাখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের উদ্বাস্তুদের জমির স্বত্ত্বাধিকার দিয়েছে রাজ্য সরকার। গত বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে উদ্বাস্তুদের জমির দলিল তুলে দিলেন রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মমতা বললেন, ‘এবার আপনারা নিজের ঠিকানা পেলেন। অর্থাৎ যে ঠিকানা সব খুইয়ে আসা মানুষ, যাঁরা উদ্বাস্তু হয়ে এসে বসবাস করছিলেন দীর্ঘদিন, তাঁদের সব ছিল কিন্তু আইনত নিজের ঠিকানা ছিল না। তাঁর কথায়, ‘অনেক সংগ্রাম, অনেক কঠিন সময় পেরিয়ে এসে আজকে আপনারা ঠিকানা খুঁজে পেলেন।’
এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে নিঃশর্ত জমির দলিল প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বস্তির মানুষকে জমির অধিকার দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ঠিকা প্রজাস্বত্ব আইনের পরিবর্তন করা হয়েছে। ঠিকা ভাড়াটিয়াদের বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি সেখানে বাড়ি তৈরি করতে চান তারও অনুমতি দেওয়া হয়। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে রাজ্য সরকার গৃহ তৈরি করে দিতে রাজি আছে। তবে প্রোমোটারির অনুমতি কোনওমতেই দেওয়া হবে না। 
এ ব্যাপারে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ইতিমধ্যে বেশকিছু বস্তিতে ঠিকা আইন অনুযায়ী অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বস্তিগুলোকে সুন্দর করে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। চাইলে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ‘জি প্লাস ফোর’ করে দেওয়া হচ্ছে। ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী, মেয়র ছাড়াও মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা উপস্থিত ছিলেন।

দলিল দেওয়ার পাশাপাশি ওই মঞ্চ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  বলেন, "২৬১টি কলোনিকে স্বীকৃতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাঁদের কেউ উৎখাত করতে পারবে না। ডিড দেওয়ার ফলে ৫২ হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছেন। ২৭ হাজারের বেশি মানুষকে পাট্টা দেওয়া হয়েছে।" তিনি এও জানান যে , মতুয়ারাও পাট্টা পাবেন। তাঁদেরও কেউ উচ্ছেদ করতে পারবে না।
এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশের মতো টাকা বাংলাকে দেয় না কেন্দ্র। রাজ্যগুলি থেকে টাকা আদায় করে কেন্দ্র। সেই টাকা থেকে ইউপি–কে বেশি করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। ভোট এলেই কেউ কেউ গেরুয়া পড়ে টিভিতে মুখ দেখাচ্ছে। গেরুয়া পড়লে সাধু হওয়া যায় না। সাধু হতে গেলে আত্মত্যাগ করতে হয়। ভোটের সময় কোয়েল–দোয়েল নিয়ে চলে আসছে। ভোট চলে গেলে সব কিছু হাওয়া হয়ে যায়। ভোট এলেই এরা নেতাজি–আম্বেদকরকে স্মরণ করে।’‌
কেউ কেউ এও মনে করছেন, যেহেতু বঙ্গ বিজেপিতে এখন মতুয়াদের বিদ্রোহ চলছে, শান্তনু ঠাকুররা রণংদেহি মেজাজে কোন্দলকে প্রকাশ্যে এনে ফেলেছেন, এদিন হয়ত সেটাকেও উস্কে দিতে চেয়েছেন মমতা।

Journalist Name : Sayantika Biswas

Tags:

Related News