"উন্নয়ন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য" - নিমাই ঘোষ

banner

#Exclusive Candid Interview:

পুর নিগমের পৌর নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থী থেকে শুরু করে হেভি ওয়েট প্রার্থীরা ভোট প্রচার নিয়ে বেশ আদা জল খেয়েই লেগে পড়েছেন বললেই চলে। এইরকমই একটি ভোটের প্রচারের ফাঁকেই প্রভাতী সংবাদের প্রতিনিধি আমরা পায়েল দাস, এবং সায়ন্তিকা বিশ্বাস পৌঁছে গেলাম মধ্যমগ্রাম পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সনের শ্রী নিমাই ঘোষের কাছে।
◆◆ "নমস্কার দাদা, আপনার রাজনৈতিক দলে যোগদানের যাত্রা কেমন ভাবে হয়েছিল?"
◆◆ "বাড়িতে সকলেই কংগ্রেস দলকে সমর্থন করতো। সেই সময় আমাদের প্রাক্তন  প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে দেখে আমি খুব গর্ববোধ করতাম, এবং তাকেই আমার রাজনৈতিক গুরুর স্থানে বসিয়েছিলাম, এবং সেই থেকেই আমার রাজনীতি, কংগ্রেস পার্টির প্রতি ভালোবাসা জন্মেছিল। তারপর ছাত্ৰ জীবনে ছাত্রপরিষদের দলে যোগ দিয়েছিলাম, তারপরে আমি আইন নিয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর আমি গোঙ্গারাউর গ্রাম পঞ্চায়েত ১৯৮৮ সালে আমি জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সর্বপ্রথম আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। ১৯৯৩ সালে মধ্যমগ্রাম পৌরসভা গঠন হয়, আমি ১৯৯৪ সালে জাতীয় কংগ্রেসের টিকিট পেয়ে  কাউন্সিলর নির্বাচিত হই, ফের ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য পৌরসভার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে আমি ফের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হই এবং সেই সময় আমি মধ্যমগ্রামের ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলাম এবং চেয়ারম্যান পদে ছিলেন মাননীয় শ্রী রথীন ঘোষ, যিনি এখন বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের মন্ত্রী। 

২০০৪ সালে ফের নির্বাচন হয় এবং আমি তখনও জাতীয় কংগ্রেস পার্টির পক্ষ থেকে আমি প্রতিদ্বন্ধিতে করি, ২০০৯ সালে আমার সিট রেসার্ভেশন হয় এবং ফের ২০১৫ সালে আমি চতুর্থবারের জন্য নির্বাচিত হই, তখন চেয়ারম্যান রথীন ঘোষ আমাকে স্বাস্থ্য কোনজার্ভেশনের দায়িত্ব দেন। ২০২১ সালে ১৬ই অগাস্ট, আমাকে বোর্ড অফ এডমিনিষ্ট্রেটরের চেয়ারপার্সন নিযুক্ত করে। এইভাবেই আমার রাজনৈতিক জীবন চলছে।
◆◆  "আপনি এবার মধ্যমগ্রাম এলাকার ২৬ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী হিসেবে এইবারের নির্বাচন লড়ছেন তো তার জন্য কি কি প্রস্তুতি নিচ্ছেন?"
◆◆ "নির্বাচনের জন্য আলাদা করে কোনো প্রস্তুতি আমরা নি না। সারাবছর মানুষের জন্য কাজ করি, তাদের পাশে থাকি, মানুষদের সব রকম অবস্থায় তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াই, জনগণের যাতে কোনো সময় কোনোরকম অসুবিধা না হয় সেই বিষয়টি আমাদের নজরে সব সময় থাকে। আমি নিয়মিত নিজের ওয়ার্ড অফিসে বসি, তাছাড়াও পৌরসভাতেও আসি কাজকর্ম দেখি, নিজের দলীয় কার্যালয়েও বসি, মানুষের জন্য সারাদিন নিজেকে তাদের কাছে পৌছিয়ে দিতে চেষ্টা করি।"

◆◆ "চেয়ারম্যান পদে থাকাকালীন আপনি কি কি উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করেছেন?"
◆◆  "মধ্যমগ্রামের আসল উন্নয়ন হয়েছে আমাদের মন্ত্রী রথীন ঘোষের হাত ধরেই। আমি তো বিগত মাত্র কয়েক মাস হলো বোর্ড অফ এডমিনিষ্ট্রেটরের চেয়ারপার্সন হয়েছি। কিন্তু আসলে রথীন দা, ডক্টর কাকুলি ঘোষ দস্তিদার  এবং সর্বোপরি জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই জনবাসী উন্নয়ন দেখেছে।"
◆◆ "নির্বাচনে জেতা নিয়ে আপনারা কতটা আশাবাদী?"
◆◆ "নির্বাচনে আমরাই জিতবো এটা কি আর কোনো বলার বাকি থাকে? আমাদের জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা উন্নয়ন করেছেন, এবং আমাদের মন্ত্রী শ্রী রথীন ঘোষ এবং ডক্টর কাকুলি ঘোষ দস্তিদার যেভাবে আমাদের সকলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাতে এটাই বলাই বাহুল্য যে মানুষ উন্নয়ন এবং তৃনামূলের প্রতীক চিহ্ন ঘাসের ওপর জোড়া ফুল চিহ্ন দেখেই আমাদের নির্বাচিত করেন। তাদের আশীর্বাদ এবং ভালোবাসা সবসময় আমার সাথে আছে। 
◆◆ -"এবার নির্বাচনে জিতলে আরো কি কি উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করার কথা ভাবছেন আপনারা?"
◆◆ "দেখুন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম বলতে প্রায় যা যা করার দরকার ছিলো সবকিছুই আমাদের মাননীয় মন্ত্রী শ্রী রথীন ঘোষ ইতিমধ্যেই করেছেন। গত ৪ তারিখে তিনি  এই মধ্যমগ্রাম মহানগরীর ৮নং ওয়ার্ডে বিবেকানন্দ মিনি ব্যাটমিন্টন স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেন, এবং তার পাশেই আচার্য্য জগদীশচন্দ্র বসু শিশু উদ্যান করেছেন। রাজ্য সরকারের সাহায্যে এবং আমাদের এই মধ্যমগ্রাম তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে এবং অতি যত্নসহযোগে এই কাজটি নির্মাণ হয়েছে। এখন তেমন কিছু কাজ করার কথা ভাবনা-চিন্তা করি নি আমরা, ধীরে ধীরে মানুষের চাহিদা বাড়ুক, আমাদের কাছে তাদের সমস্যার কথা আসুক, তাহলেই আমাদের পরবর্তী উন্নয়ন পদক্ষেপ নিতে এগিয়ে যেতে হবে।"
◆◆  "এবারের নির্বাচন দেখে কি মনে হচ্ছে বিরোধীদল কি শাসকদলের সাথে রেষারেষি তে আস্তে পারবে?"
◆◆ "দেখুন আমরা গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিকতায় বিশ্বাসী। মানুষ যাকে চাইবে সেই আসবে। মানুষ যদি এখন আমাদের কাজে খুশি হয়ে আমাদের ভোট দিয়ে জেতায় তাহলে আমরাই থাকবো এবং যদি বিরোধীদের মানুষ চায় তাহলে ওরাই আসবে। আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী যে আমরা যা যা উন্নয়ন করেছি, বিরোধীরা তার এক আনাও করে নি। তাই শেষে বলবো আমরাই ছিলাম, আছি, এবং থাকবো।"
◆◆ "বিরোধী দলের অভিযোগ সম্পর্কে কি বলতে চাইবেন?"
◆◆ "ওদের অভিযোগ তো থাকবেই। আসলে ঘরে বসে অনেকেই অনেকরকম কথা বলে, কিন্তু ওদের তো কোনোদিনও রাস্তায় নেমে মানুষের জন্য কাজ করতে দেখা যায় না, উন্নয়ন করতেও দেখা যায় না। ওই শুধু ঘরে বসেই আমাদের অভিযোগ করা ছাড়া করেটা কি?"
◆◆  "তাহলে সব শেষে সকলের উদ্দেশ্যে কি বলতে চাইবেন?"
◆◆ "সকলের কাছে আমি এটাই বলবো সর্বশেষে উন্নয়ন আনুন, উন্নয়নকেই ভরসা করুন, উন্নয়নের পাশে থাকুন। নিজেদের অধিকার ছাড়বেন না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। আমরা সর্বদাই আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি, এবং থাকবো।"

Journalist Name : Payel Das

Tags:

Related News