মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নই হলো শেষ কথা তাই ৩৪ য়ে আমরা ৩৪ টাই আসন পাবো

banner

#Exclusive Candid Interview:

পুর নিগমের পৌর নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থী থেকে শুরু করে হেভি ওয়েট প্রার্থীরা ভোট প্রচার নিয়ে বেশ আদা জল খেয়েই লেগে পড়েছেন বললেই চলে। একটি ভোটের প্রচারের ফাঁকেই প্রভাতী সংবাদের প্রতিনিধি আমি পায়েল দাস এবং ক্যামেরায় সায়ন্তিকা বিশ্বাস পৌঁছে গেলাম দমদম পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর কাছে -
◆◆   "নমস্কার দাদা, আপনার রাজনৈতিক জীবন শুরু কিভাবে হলো?"
◆◆  "১৯৬৮ সালে ছাত্র জীবন থেকেই আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। তারপর দমদম মতিঝিল কলেজ, সুরেন্দ্রনাথ ল কলেজ, এবং ব্যারাকপুর বি. এড কলেজে, আমি শিক্ষকতা করি, তারপর ২০১১ য়ে আমি শিক্ষকতা থেকে রিটায়ারমেন্ট নিয়েনি।"
◆◆  "শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে হঠাৎ করেই রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশে কি কোনোরকম কোনো বাধা পেয়েছিলেন?"
◆◆  "শিক্ষকতাতে প্রবেশ করার আগে থেকেই রাজনীতির প্রতি আমার ভালোবাসা ছিল। এই জগতে পা রেখেছিলাম আমরই গুরু এবং শিক্ষক মানিকবাবুর হাত ধরে। সেই ২০০০ সাল থেকে কাউন্সিলর পদে লড়ে আসছি। এইবার নিয়ে পঞ্চম বারের জন্য লড়ছি। তার আগে দু'বার পঞ্চায়েত বিভাগে ছিলাম।"

◆◆  "পঞ্চায়েত আমলে যখন ছিলেন তখনকার রাজনীতি এবং এখনকার রাজনীতির মধ্যে কি কোনো পার্থক্য খুঁজে পেয়েছেন?"
◆◆   "হ্যাঁ অবশ্যই, অনেক পার্থক্য খুঁজে পেয়েছি। পঞ্চায়েতের আমলের উন্নতির সাথে এখনকার উন্নতি, উন্নয়নের আকাশ-পাতাল তফাৎ হয়ে গিয়েছে। এবং পঞ্চায়েতের  রাজনৈতিক, সামাজিক হিংস্রতা, দ্বন্দ্বের গুলি এখন বেশ উন্নত হয়েছে।"
◆◆  "মানুষজনদের কি চাহিদা আপনাদের কাছে?"
◆◆  "মানুষজনদের চাহিদা বলতে তারা পৌরসভার থেকে এইটুকুই চায় যে ভালো পরিষ্কার ঠান্ডা মিষ্টি পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকবে, রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে, রাস্তার আলো গুলি ঠিকমতো যাতে জ্বলে, জল নিকাশির ব্যবস্থা যেন ঠিকমতো থাকে। ব্যাস এই টুকুই তো চাই। সাধারণ মানুষের দাবি বলতে এইটুকুই। এবং অনেকটাই প্রায় আমরা ঠিকমতো পরিষেবা দিতে পেরেছি। এখানে পানীয় জলের কোনো সমস্যা নেই।রাস্তাঘাটের আলো নিয়ে বলুন চাই রাস্তাঘাট অপরিস্কার নিয়েই বলুন আমরা মানুষকে ঠিকমতো সবকটি উন্নতমানের পরিষেবা দিয়ে চলেছি এবং আগামীদিনেও এর অন্যথা হবে না।"
◆◆  "করোনার জন্য নির্বাচনে কি কি বিধি নিষেধ তৈরি করেছেন?"
◆◆  " এই মহামারিতে আমরা কিন্তু পিছুপা হই নি। প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি ঘুরে মানুষদের চাল, ডাল, সবজি, ওষুধ, আমরা দিয়েছি। এমনকি কোভিড আক্রান্ত মানুষদের প্রতিনিয়ত ওষুধ পরিষেবা, অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌছিয়ে দিয়েছি, কারুর কোনো সমস্যা হলেই দৌড়ে গিয়েছি সেখানে। যখন যেখানে যেতে পারি নি, সেখানে বারবার ফোন করে জেনেছি খবরাখবর নিয়েছি। ৬০ বয়স উর্ধ" মানুষদের বুস্টার ডোজ দিয়েছি, এখন শুধু ওই ১৫-১৮ বয়স বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাকসিন দেওয়া চলছে।"
◆◆  "স্কুলগুলি খুলে গিয়েছে তার জন্য আপনারা কি ব্যবস্থা নিয়েছেন?"
◆◆  "মাঝে তো পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় তৈরি হয়েছিল। চটের মাদুর , ত্রিপল খাটিয়ে মাঠের মধ্যে বাচ্চাদের পড়ানো হয়েছিল। এখন স্কুল খুলে যাওয়াতে ভালো করে স্যানিটেশন করা হচ্ছে, দুরুত্ববিধি মেনেই বাচ্চাদের ক্লাসে বসানো হয়েছে।"
◆◆  "আরো নতুনত্ব কি কি কাজ করবেন বলে ভাবছেন?"

◆◆   "এখানে জল নিকাশির ব্যবস্থা আরো উন্নতমানের করতে হবে। ব্যবস্থা ভালো আছে কিন্তু তাও আরো ভালো করাটা উচিত বলে মনে করি আমি। বড়ো একটি রাস্তা বা বড়ো একটি জমিকে ছোট ছোট প্লট বানানোর ইচ্ছে আছে। ইতিমধ্যেই তার কাজ শুরু হয়েছে খুব শিগগিরই শেষ হবে।"
◆◆  "বিরোধীদের কিছু বলতে চাইবেন?"
◆◆   " না ,না ওদের আর কি বলবো। ওরা বাম-কংগ্রেসের জোট করেছে। বিজেপি তো বোঝাই যাচ্ছে জীবনেও কিচ্ছু হবে না।"
◆◆  "আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কতটা আশাবাদী আপনারা?"
◆◆   "আমাদের তো মনে হচ্ছে, ৩৪ য়ে আমরা ৩৪ টাই আসন পাবো। কারণ আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নই হলো একদম শেষ কথা। বাকি বিরোধীদলের কি হলো না হলো তা নিয়ে কোনো মাথা ব্যথাই নেই আমার।

Journalist Name : PAYEL DAS

Tags:

Related News