তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলার মানুষ যে উন্নয়ন দেখেছে - প্রবীর সাহা

banner

#Exclusive Candid Interview:

আর মাত্র বাকি একটা দিন, তারপরেই ২৭ শে ফেব্রুয়ারি,২০২২ এ হতে চলেছে ১০৮ টি পৌরসভার পুরনির্বাচন। আসন্ন ১০৮ পুরভোটে আত্মবিশ্বাসী প্রার্থীরা। উন্নয়নই এখন সর্বদাই হাতিয়ার, তাই লক্ষ্য সোজা জয়লাভ। আজ প্রভাতী সংবাদের টিম পায়েল দাস এবং সায়ন্তিকা বিশ্বাস চলে এসেছে নিউ ব্যারাকপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের প্রার্থী এবং প্রাক্তন পুরপ্রশাসক শ্রী প্রবীর সাহার কাছে -   
সদ্য নিজের ওয়ার্ডের ভোট প্রচার কিছুটা সেরে এসেই নিজের বাড়িতে ঢুকে নিশ্চিন্তে জানালেন তার রাজনৈতিক জীবনকাহিনী। তিনি বললেন, " ১৯৮৭ সালে কলেজে পড়ার সময় থেকেই আমাদের জাতীয় দল কংগ্রেস ছাত্রপরিষদ থেকেই রাজনীতি করতে শুরু করেছিলাম। তারপরে এই ২০১০ সালে পুরোপুরি ভাবে আমি তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারে একজন সদস্য হিসেবে আসি।"
তিনি জানান নিউ ব্যারাকপুর পৌরসভাতে যথেষ্ট উন্নয়নমূলক কাজ তিনি করেছেন। ২০১৫ সালে তিনি ব্যারাকপুর পৌরসভার ১৬নং ওয়ার্ডের পৌর-প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০২০ সালে তিনি মেম্বার অফ এডমিনিষ্ট্রেটর হন, তার ঠিক এক বছর পর ২০২১ সালে তিনি বোর্ড অফ এডমিনিষ্ট্রেটর হন। সময় পেয়েছিলেন মাত্র ৬ মাস। এই ৬ মাসে অতিমারী করোনার সময়ে তিনি খুব বেশি করে নজরবন্দি করে রেখেছিলেন। মানুষজনের পাশে সর্বক্ষণ ছিলেন। কোভিড আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি স্বয়ং ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করেছেন, খাদ্য সামগ্রী পৌছিয়ে দিয়েছেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার, মাস্ক, স্যানিটাইজারের প্রতিনিয়তই ব্যবস্থা করে গিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "আমি সবসময় চেষ্টা করে গিয়েছি কিভাবে মানুষের জন্য তাদের সেবা করতে পারি। আমিও একজন মানুষ যাদের জন্য কাজ করছি এবং আগামীদিনেও করবো তারাও মানুষ। ইতিমধ্যেই সকল মানুষের ভ্যাকসিনেসানের ব্যবস্থা করেছি আমরা। বয়স্কদের জন্য বুস্টার ডোসের ব্যবস্থাও করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। 

যেই সব মানুষেরা নিজেরা এসে ভ্যাকসিন নিতে পারছেন না তাদের জন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে গিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। এখন তো সরকার থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্কুল খোলার ব্যবস্থা হয়েছে। সে দিক ভেবে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আমরা নিয়মিত  স্কুলগুলি স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি সাথে প্রতিটি স্কুলে গিয়ে মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান, ইত্যাদি দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছি। এছাড়াও এখানকার ৯টি পুকুরকে আমরা "গ্রীন সিটির" আওতায় এনে সেগুলি বেশ সাজিয়ে গুজিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেছি। ইতিমধ্যেই তার টেন্ডারটিও হয়েছে। জল নিকাশির ব্যবস্থা ঠিকঠাক করার জন্য আমরা স্বচ্ছ ড্রেনের ব্যবস্থাও করেছি, এবং মানুষ যাতে রাস্তাঘাটে ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে সেই জন্য রাস্তাঘাটের পরিকাঠামো অনেক উন্নত করতে পেরেছি।"
রাজনীতির জগতে বিগত ৫-৭ বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসায় বেশ অনেককিছুই পরিবর্তন দেখেছেন বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন,"বিগত ৪৩-৪৮ বছরে রীতিমতো বামফ্রন্ট সরকার রাজ চালাতেন এই অঞ্চলে কিন্তু সেই সময় উন্নয়ন বলতে তেমন কিছুই হয়নি, বরং বলা ভালো উন্নয়ন করাই হয়নি। কিন্তু এই গত ৫-৭ বছরে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসে যা যা উন্নয়ন করেছে, যেভাবে মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাতে বলাই চলে উন্নয়ন হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্যই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই।"
তিনি স্পষ্ট জানালেন এইবারের নির্বাচনে তিনি খুবই আশাবাদী যে তাদের জয় হবেই। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলার মানুষ যে উন্নয়ন দেখেছে এবং যে সকল রকম উন্নয়নমূলক কাজ এবং প্রকল্প পেয়েছেন সেটা বিরোধী দলের কেউ কোনোদিনও করার কথা ভাবতেই পারে নি। 
বিরোধীদের অভিযোগের তীর ভেঙে প্রবীর সাহা এও বলেন যে, "বিরোধীদের যদি আমাদের নিয়ে, আমাদের সম্পর্কে কোনোরকম কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে আমি তাদের অনুরোধ করবো আমাদের সামনে এসে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সেই অভিযোগগুলি করতে।

তারা নিজেরাও জানেন যে আমাদের প্রতি অভিযোগ আনার বা অভিযোগ করার কোনো বিষয়-বস্তু তাদের কাছে নেই। তাই জন্য সাংবাদিকদের সামনে বা সাংবাদিক সম্মেলনে তারা আমাদের নিয়ে বিতর্ক তোলেন কিন্তু সবার আড়ালে গিয়ে দেখুন দেখতে পাবেন আমাদেরকে ওরা বাহবা দিচ্ছে। সুতরাং ওদের নতুন করে আর কিই বা বলবো।"
তার আগামী পরিকল্পনা বিষয় তিনি জানালেন তিনি চান এই অঞ্চলের হসপিটাল এবং নার্সিংহোম গুলি আরো উন্নত করতে ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন, অঞ্চলে একটি বি এল আর ও (বি এল আর ও) অফিস তৈরি করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি তাদের সম্মান জানিয়ে বলেছেন যে, "সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের সম্মান করেন, আমরাও করি। আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারি নির্বাচন, মানুষ সব দেখেছে, তারা ফল দেবেন, আমরা তাই আশীর্বাদ মনে করে মাথা পেতে নেবো। দোষ করলে শাস্তি পাবো, আর ভালো কাজ করলে পুরস্কার পাবো।"

Journalist Name : Payel Das

Tags:

Related News