ভরা ডুবি ৫ রাজ্যেই, রাজ্যের সভাপতিদের ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ জাতীয় কংগ্রেস সুপ্রিমোর

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

মাত্র ৫ দিন আগেই ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে, তাতে পাঞ্জাব বাদে বাকি ৪ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড গেরুয়া শিবির দখল করেছে আর পাঞ্জাবে জয়ী হয়েছে আম আদমি পার্টি। অনেকেই মনে করেছিলেন পাঞ্জাবে হয়তো প্রদেশ কংগ্রেস নিজের আসন ধরে রাখতে পারবে, কিন্তু সেই কাজেও কার্যত ডাহা ফেল করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। যেই রাজনৈতিক দল একদিন ভারতকে স্বাধীন হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ছিল সেই দল বর্তমানে শুন্য শিবিরে পরিণত হয়েছে, রাজনীতির ময়দানে নিজেদের প্রমান করতে অসফল কংগ্রেস। 
৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোটে চূড়ান্ত হারের পরে কংগ্রেস থেকে সরে দাঁড়াতে চান খোদ কংগ্রেস সুপ্রিমো সোনিয়া গান্ধী তার সাথে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধিও। বিধানসভা ভোটের আগে অনেকেই ভেবেছিলেন উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেস জয়ী হলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কিন্তু সব আশাই জল ঢেলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। গত রবিবার এই ব্যাপারে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। সেই সাথে পাঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি বর্ষীয়ান নেতা নাভজ্যোৎ সিং সিধুকে কংগ্রেস সুপ্রিমো সোনিয়া গান্ধী নির্দেশ দিয়েছেন ইস্তফা দেওয়ার জন্য, তার পরেই টুইট করে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন নাভজ্যোৎ সিং সিধু। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, “কংগ্রেস সুপ্রিমোর ইচ্ছে আমার কাছে শিরোধার্য, তার কথায় ইস্তফা দিলাম”। 

জানা গিয়েছে শুধু পাঞ্জাব নয়, এদিন বৈঠকে গোয়ার সভাপতি গিরিশ চোড়নোকোর, উত্তরপ্রদেশের অজয় লাল্লু, মণিপুরের সভাপতি এন লকেন সিং এবং উত্তরাখণ্ডের গনেশ গোদিয়ালকেও ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের ভরা ডুবি নিয়ে অনেক দিন ধরেই চাপ বাড়ছিলো সোনিয়া গান্ধীর ওপর, ভারতের রাজনীতির শুরু থেকে যে রাজনৈতিক দল ভারতের ভবিষ্যৎ গড়েছিল, অনেক রাজনীতিবিদ তাকে পরিবার তন্ত্রের দল বলেও কটাক্ষ করেছেন। এ রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম মুখ অধীর রঞ্জন চৌধুরী অবশ্য জানিয়েছেন, “খারাপ ফলের দায় নিয়ে কংগ্রেস সুপ্রিমো সহ রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ইস্তফা দিতে চাইছেন, কিন্তু আমরা তাদের ইস্তফা চাইছি না”। তবে কংগ্রেসের মতে পাঞ্জাবে বিধানসভা ভোটে হারার অন্যতম কারণ নাভজ্যোৎ সিং সিধু, দলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাকে ঘিরে, ফলে দলের অন্তকলফ এই খারাপ ফলের কারণ বলে মনে করছেন অনেকেই।

Journalist Name : sagarika chakraborty

Tags:

Related News