করোনা মহামারীর জন্য পুরো দেশে বদলে গিয়েছে পেমেন্টের ব্যবস্থা। দেশে তেজ গতিতে বেড়েছে ডিজিটাল পেমেন্ট। বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল অ্যাপ চালু হয়ে গিয়েছে। এই সকল অ্যাপের মাধ্যমেই করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট। এর ফলে মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও চালু করা হল ডিজিটাল পেমেন্ট। ১এপ্রিল থেকে ডিজিটাল পেমেন্ট অপশনের মাধ্যমেই করতে হবে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের আগের বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে। মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি খুব বড় খবর। এসইবিআই ১এপ্রিল থেকে পরিবর্তন করতে চলেছে মিউচুয়াল ফান্ড পেমেন্ট অপশন। এর ফলে বদলে যেতে চলেছে মিউচুয়াল ফান্ডের পেমেন্ট অপশন।নেটব্যাঙ্কিং এবং ইউপিআই পদ্ধতিতে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার ফলে খুব সহজেই করা যাবে বিনিয়োগ। ডিজিটাল পদ্ধতিতে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার ফলে সকলেই খুব সহজে বিনিয়োগ করতে পারবে মিউচুয়াল ফান্ডে। কারণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগ করা যাবে মিউচুয়াল ফান্ডে। এর ফলে আর ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। ফিজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট মানে হল চেক, ডিমান্ড ড্রাফ্ট, ট্রান্সফার লেটার, ব্যাঙ্কারের চেক, পে অর্ডার, যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারী মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য অর্থ প্রদান করেন। কিন্তু, ৩১মার্চ থেকে এভাবে আর এমএফ ইউটিলিটিতে টাকা দেওয়া যাবে না।
অর্থাৎ, বিনিয়োগকারী যদি এমএফ ইউটিলিটিগুলির মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে ১ এপ্রিল, ২০২২ থেকে অর্থপ্রদানের জন্য অন্য মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। ১ এপ্রিল থেকে ই-কালেকশন পেমেন্ট মোড অর্থাৎ এনইএফসি বা আরটিজিএস বা আইএমপিএস-এর মাধ্যমেও পেমেন্ট করা যাবে না। পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা করার পরেই পেমেন্ট মোডের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। আর তাই, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই অব্যবস্থা ঘোচাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁরই নির্দেশে ইতিমধ্যেই ই-টেন্ডারিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে প্রায় সব দপ্তরেই৷ কাজের বরাত বা ওয়ার্কঅর্ডারও যাতে ই-মেল মারফত্ দেওয়া যায়, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে৷ তার আগেই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বিভিন্ন দপ্তরে চালু ক্যাশ অফিস থেকে বিল পেমেন্টের ব্যবস্থাটা তুলে দিতে চান৷