এসএসসি'তে নিয়োগ সংক্রান্ত বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ! আর সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি জন্যে ইতিমধ্যে তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও এরপরেই ডিভিশন বেঞ্চে সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। আর এরপরেই তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূলের মহাসচিব। যদিও বাংলার দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। কিন্তু শেষমেশ এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মধ্যেই পড়তে হয় তাঁকে। এসএসসি-র দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের তলব। হাজিরা এড়ালেন এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির ৪ সদস্য। সূত্রের দাবি, ইমেলে তাঁরা জানান সোমবার মামলার শুনানি থাকায় হাজিরা সম্ভব নয়। এই নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে সিবিআই। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "এসএসসিতে দুর্নীতি হয়েছে। যারা দুর্নীতি করেছে তারা ছাড় পাবে না।" অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "এত বড় একটা সিস্টেম, তার মধ্যে দশমিক শতাংশও যদি দুর্নীতি হয়,তাহলে ঠিক নয়।" এস এস সি’র গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি মামলার শুনানি হবে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে। হাজিরার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হলেও এই মামলা নিয়ে পার্থকে বিঁধতে ছাড়েনি বিরোধীরা। গতকালই এই ঘটনার জন্য তৃণমূলকে আক্রমণ করেছিল বিজেপি ও কংগ্রেস। আর আজ সকালে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ কটাক্ষের সুরে বলেন, "ধৃতরাষ্ট্র সেজেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর চোখের সামনে সব ঘটেছে। কোনও ব্যবস্থা নেননি। অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের বাকি জীবন যেমন কেটেছে, তেমনই কাটবে। "পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন এসএসসি-র গ্রুপ ডি পর্যায়ে নবম এবং দশম শ্রেণির নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ।
এরপর সোমবার গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন অনুসন্ধান কমিটি। সূত্রের খবর, রিপোর্টে দাবি করা হয়, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমতিতে যুগ্মসচিব যে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল তা বেআইনি। সরকারি নির্দেশ মেনে ওই কমিটি তৈরি হয়নি। প্যানেলে থাকা ৬০৯জন পাশই করেননি। তা সত্ত্বেও তাঁরা চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। রিপোর্টে এই বিষয়টি জানার পরই পার্থকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ১৩মে পর্যন্ত পার্থকে হাজিরা দিতে হবে না। বুধবারের শুনানিতে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, পাঁচ সপ্তাহ পরে মামলাটির শুনানি হবে। ওই দিনের মধ্যে বাগ কমিটিকে তাঁদের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের উপর পাঁচ সপ্তাহের স্থগিতাদেশও দেন বিচারপতিরা।