Flash news
    No Flash News Today..!!
Sunday, May 12, 2024

বিশ্বের ধনীতম দেশ চিন, বলছে বর্তমান সমীক্ষা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বিশ্ববাসির ধারণা, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর পরে চিনই হলো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। চীনের জিডিপি এবং ক্রয় ক্ষমতা ক্রমশ ঊর্ধ্বগামী। চীনের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাতে শিল্পের উন্নয়ন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। চীনের উপর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল প্রায় গোটা বিশ্ব। ২০১১ সালে ইন্টারন্যাশনাল মনেটারি ফান্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে জিডিপির দিক থেকে ৯১ তম স্থানে আছে চীন।


 একসময় পশ্চাত্পদ দেশ ছিল চীন তবে কয়েক বছরের মধ্যেই বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে চীনা অর্থনীতি। ১৯৯০-এর দশক থেকেই চীনের অর্থনীতির হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। দেখা যায় যে ২০০১সালে চীন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় প্রথমবারের জন্য যোগদান করেন। এরপর থেকে চীনের রপ্তানি ক্রমশ বাড়তেই থাকে দ্রুত হারে। পণ্য রপ্তানির দিক থেকে চীন হয়ে ওঠে, বিশ্বের বৃহত্তম দেশ তার ফলেই চিনা অর্থনীতি পৌঁছে যায় উচ্চ শিখরে।

চীনকে দারিদ্র্যের দেশ বলে জানালেও অর্থনৈতিক উন্নতির পর থেকে চীনের কোটি কোটি মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ডের কথা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে চিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ২৭ শতাংশ মানুষ শিক্ষা অর্জন করবে । তবে চীন যেহেতু এক বিশাল জনঘনত্বের দেশ টাই এর অর্থনৈতিক বৃদ্ধির প্রভাব ১৩০ কোটি জনসংখ্যার সব মানুষের কাছে সমানভাবে এখনো পর্যন্ত পৌঁছায়নি। 


পাঁচ বছর আগের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী চীন এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কে পিছনে ফেলে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমশ ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে উঠছে। করোনাভাইরাস মহামারী প্রভাব কাটিয়ে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তাতে তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি প্রচুর বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালেও ২০২৫সাল পর্যন্ত চিনা অর্থনীতিতে প্রায় ৫.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটবে। অন্যদিকে করোণা অতিমারির সময় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ। এরফলেই অনুমান করা যাচ্ছে যে চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যবধান কমছে। 

রিপোর্ট থেকে জানা যায় বিশ্বের অর্থনীতিতে ২০০০ সাল পর্যন্ত চীনের অংশ ছিল ৩.৬ শতাংশ বর্তমানে যা গিয়ে পৌঁছেছে ১৭.৮ শতাংশে।  

Journalist Name : Sagarika Chakraborty

Related News