ম্যালেরিয়া রোগকে নির্মূল করার জন্য প্রতি বছর ২৫শে এপ্রিল সারা বিশ্বে পালিত হয় বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস। একসময় গ্রামের পর গ্রাম ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসা না থাকায় মারা গেছিলেন বহু মানুষ। আফ্রিকা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে প্রকোপ রয়েছে ম্যালেরিয়ার। মশা বাহিত এই রোগের শিকার গোটা বিশ্ব। অ্যানাফেলিস মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ ছড়ায়। মশার লালারসের মাধ্যমে রক্তে মেশে। তারপর লিভারে বংশবৃদ্ধি হয় ম্যালেরিয়া জীবাণুর। এই রোগে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এবং আরও একাধিক উপসর্গ দেখা যায়। আঠারো শতকের শেষ দিকে এই রোগের জীবাণু জন্য দায়ী পরজীবীকে আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী চার্লস ল্যাভেরন। এর কিছু বছর আগে ব্রিটিশ চিকিত্সক ও বিজ্ঞানী স্যার রোনাল্ড রস আবিষ্কার করেন যে ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা আর এরজন্য তিনি নোবেল পুরস্কার ও পান।
২০০১ সালে থেকে আফ্রিকার দেশগুলি সচেতনতা ছড়াতে এই দিনটি পালন করত। পরে ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বেলি-র ষাটতম অধিবেশনে আফ্রিকা ম্যালেরিয়া দিবসকে, বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসে পরিণত করা হয়।বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, ২০০৮ থেকে ২০২১ সালে দেশের ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা ও ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু হ্রাসের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে উন্নতির পরেও এখনও এই রোগের নির্মূল করা যায়নি। ফলে মশা দূর করতে, মশার লার্ভা ধ্বংস করার বার্তা দেওয়া হয়।