তবে কি হ্যাল্যান্ড এবার ম্যানচেস্টারে ?

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

২১ বছর বয়সী নরওয়েজিয়ান ২০২০ সালের জানুয়ারিতে রেড বুল সালাজবার্গ থেকে ডর্টমুন্ডে যোগদানের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছেন তার ফুসকুড়ি ফর্মের জন্য ধন্যবাদ। তিনি তার বর্তমান দলের হয়ে ৮৪ ম্যাচে ৮০ গোল করেছেন, গত মৌসুমে জার্মান কাপ জিতেছেন।
ম্যানচেস্টার সিটি হ্যাল্যান্ডকে স্বাক্ষর করার জন্য ফেভারিট, তবুও তাদের প্রিমিয়ার লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও শিকারে রয়েছে। অন্যান্য আগ্রহী দলগুলোর মধ্যে রয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা, পাশাপাশি বায়ার্ন মিউনিখ এবং প্যারিস সেন্ট জার্মেই।
২০২০ সালে রেড বুল সালজবুর্গে খেলার সময় থেকে হরলান্ডের ওপর চোখ ইউনাইটেডের। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ২০টি দল তাঁকে পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। ইউনাইটেডও ছিল এই ভিড়ে। কিন্তু সবাইকে টপকে ডর্টমুন্ড পেয়েছিল তাঁকে। বড় বড় সব ক্লাব ফেলে তাঁকে পেতে একটি বুদ্ধি খাটিয়েছিল জার্মান ক্লাব। ডর্টমুন্ডের প্রধান নির্বাহী হ্যানস জোয়াকিম ওয়াটজকিই জানালেন সেটা, ‘আমরা আরলিং হরলান্ডকে রিলিজ ক্লজ দিয়েছি। না হলে সে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যেত।’

 হ্যাল্যান্ডের পারফরম্যান্স অনুযায়ী তাঁর রিলিজ ক্লজ খুবই কম। ২০২০ সালে নরওয়েজ এই স্ট্রাইকার নাম লেখান ডর্টমুন্ডে। ডর্টমুন্ডের হয়ে লিগে ৬৪ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৫৮টি। এমন কোনো খেলোয়াড়কে ক্লাবের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিতে চাইলে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়। এই ডর্টমুন্ড থেকে উসমান দেম্বেলেকে নিতে প্রায় ১৪ কোটি ইউরো ব্যয় করেছে বার্সেলোনা। সেখানে হরলান্ডের মতো গোলমেশিনের জন্য মাত্র সাড়ে ৭ কোটি রিলিজ ক্লজ তো কমই। চুক্তির সময় এত কম রিলিজ ক্লজ ঠিক করে ডর্টমুন্ড তাঁকে দলে টেনেছিল। বুঝিয়েছিল, দেড় বছরের পর চলে যেতে চাইলে তারা বাধা দেবে না।
ইউনাইটেডের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রাংনিকের মতে, ইউনাইটেডে হরলান্ডের মতো একজন দরকার, হ্যাল্যান্ডের তরুণ একজন খেলোয়াড়। যার বয়স ২১ অথবা ২২। সে তাদের একজন, আমি যাদের কথা বলেছি। কিন্তু অন্যদিকে সে বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল স্ট্রাইকারে পরিণত হয়েছে। আমাদের উচিত ওকে উদাহরণ মেনে এমন খেলোয়াড়দের খুঁজে বের করা এবং তাদের ক্লাবে যোগ দিতে রাজি করা যেন ম্যানচেস্টারের হয়ে আগামী কয়েক বছর খেলতে পারে।’ দেখা যাক, এবার ইউনাইটেড ও হ্যাল্যান্ডের মধ্যে মিলন হয় কি না। 

Journalist Name : Avijit Das

Related News