ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষিকার পাশে দাঁড়িয়ে নজির স্থাপন করলেন অভিজিৎ গঙ্গপাধ্যায়

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বিভিন্ন মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গপাধ্যায়কে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে। আরও একটি মামলায় তিনি মানবিক হলেন বলে জানা গেছে। হুগলির ভদ্রেশ্বর তেলিনিpa মহাত্মা গান্ধী হাইস্কুলের শিক্ষিকা সুনীতা শর্মা তাঁর প্রতি অবিচারের কথা জানান বিচারককে। জানা গেছে, শিক্ষিকা সুনীতা শর্মা ২০১৬ সাল থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত। কিন্তু তাঁর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুনীতা দেবীকে ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য বরাদ্দ স্পেশাল ছুটি থেকে বঞ্চিত করেছেন। শুধু তাই নয়, শিক্ষিকার গ্রেড পে বৃদ্ধির বিষয়টিও চেপে গিয়েছেন। উপরন্তু সম্প্রতি সুনীতা শর্মার বেতন থেকে বিনা নোটিশে ৮০০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই সমস্ত অভিযোগ শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বুধবার সশরীরে হাজিরা দেবার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, সে সময়ে স্কুলের তরফ থেকে তাঁর বাড়িতে লোক পাঠিয়ে খবর নেওয়া হলেও ছুটি মঞ্জুর করা হয়নি। তবে আদালতকে ওই শিক্ষিকা জানিয়েছেন, স্কুলে তাঁর এই ধরনের সমস্যা এই প্রথম নয়। বরাবরই তাঁর প্রতি বিরুপ মনোভাবাপন্ন ছিলেন তাঁর স্কুলের প্রধান শিক্ষক অজয় কুমার যাদব। তিনি প্রধানশিক্ষক থাকাকালীনই ২০১৯ সাল থেকে ওই শিক্ষিকার বেতনবৃদ্ধি হয়নি। ক্যানসারের রোগী ওই শিক্ষিকার মামলাটি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে ওঠে। বিচারপতি মঙ্গলবার ওই প্রধান শিক্ষককে আদালতে ডেকে পাঠান। বলেন প্রধান শিক্ষককে আদালতে এসে জানাতে হবে তিনি কেন ওই শিক্ষিকার বেতন কেটেছেন। বুধবার মামলাটির শুনানি ছিল। সেখানেই ওই প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য শোনার পর তাঁকে পদ থেকে অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। একই সঙ্গে ওই শিক্ষিকার বকেয়া ইনক্রিমেন্টের হিসেব পুরোপুরি মিটিয়ে দিতেও বলেছেন তিনি।

ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ,গত ১৪ মে রাতের অন্ধকারে চুপিসারে স্কুলে ঢোকেন তিনি। প্রমাণ লোপাটের জন্যই যে তিনি রাতে স্কুলে গিয়েছিলেন তা বলাই বাহুল্য। যাতে কেউ সন্দেহ না করে সেই জন্য বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেন ওই শিক্ষক। এই ঘটনার পর পুরো বিষয়টি তদন্তের ভার চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারকে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত ১১ মে তাঁর এই রায়ের পর ১৪ তারিখ প্রমাণ লোপাটের জন্য স্কুলে ঢোকেন বলে অভিযোগ ওই হেডস্যারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তাঁকে জেরা করে সেই রিপোর্ট আগামী ৭ জুন আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

Journalist Name : SRIJITA MALLICK

Related News